চিকিৎসার গাফিলতিতে এক ধর্মযাজকের মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে শনিবার বাঘমুণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। অযোধ্যা মোড়ে বেশ কিছুক্ষণ বাঘমুণ্ডি-বলরামপুর রাস্তায় তাঁরা অবরোধও করেন। পুলিশ বাহিনী গিয়েও পরিস্থিতি সামলাতে বেগ পায়। শেষে পুরুলিয়ার (পশ্চিম) মহকুমাশাসক নিমাই চাঁদ হালদার, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সিএমওএইচ(৩) অশ্বিনী কুমার মাজি এবং সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণপ্রসাদ সর্দার ঘটনাস্থলে গিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ ও ঘেরাও ওঠে।
শুক্রবার বিকেলে পেট ব্যাথ্যা নিয়ে বাঘমুণ্ডি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি হয়েছিলেন স্থানীয় বুড়দা গ্রামের বাসিন্দা এক গির্জার ধর্মযাজক সমর সান্ডিল (৩৫)। তাঁর বোন পূরবী সান্ডিলের অভিযোগ, “রাতে দাদার অবস্থার অবনতি হলে বিএমওএইচ নরেন্দ্রনাথ সরেনকে তাঁর আবাসনে বারবার ডাকতে যাই। কিন্তু তিনি রাত পার করে প্রায় ভোরে যখন দাদার কাছে আসেন, তখন দাদার অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। ইঞ্জেকশন দেওয়ার অল্প পরেই দাদার মৃত্যু হয়।” তাঁর মতোই গ্রামবাসীদের দাবি, চিকিৎসক একটু যত্ন নিলেই বাঁচানো যেত। পরে তাঁরা থানায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে মৃত্যু হয়েছে বলে নরেন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কপূর, তাপস কপূর, সন্তোষ মেহেতারা বলেন, “সমরবাবুর বোন বারবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে গিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করলেও সাড়া দেননি তিনি। আমরা তাঁর শাস্তির দাবি জানিয়েছি।” সিএমওএইচ মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, “ইতিমধ্যেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ও অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বাঘমুণ্ডির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মহকুমা শাসক বলেন, “পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে।” |