|
|
|
|
|
|
|
ইসকুলে মুশকিল |
উত্তর দিচ্ছেন পুষ্পা মিশ্র |
|
মায়ের যত্ন সত্ত্বেও আমি খুব রোগা। তাই বন্ধুরা বিদ্রুপ করে, খেলায় নেয় না। আর সে কথা মনে পড়লে আমি পড়ায় মন বসাতে পারি না।
অর্ণব চোংদার। চতুর্থ শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন সেন্টিনারি প্রাইমারি স্কুল
অর্ণব, আমি ধরে নিচ্ছি তোমার কোনও রোগ নেই, কিন্তু তুমি রোগা। হয়তো এটাই তোমার ধাত। দেখতে হবে, তুমি রোগা বলে দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করো কি না, যদি তা না হয়, তা হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। অনেক সময় একটু বয়স বাড়লে ওজনও বাড়ে। রইল, বন্ধুদের বিদ্রুপের কথা। দেখো, সেটার উপর তো তোমার কোনও হাত নেই। তোমার যদি শারীরিক দুর্বলতা না থাকে, তুমি ওদের বোঝাবার চেষ্টা করতে পারো যে মোটা হলেই মানুষ শক্তিধর হয় না, বরং অনেক সময় বিপরীতটাই সত্য। কিন্তু ওরা তোমার কথা না শুনলে তোমার বিশেষ কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। যেটা তুমি করতে পারো, তা হচ্ছে তাদের বিদ্রুপে নিজেকে বিচলিত না করা। কয়েক জন মানুষ যদি ভুল ধারণা নিয়ে বসে থাকে, তার জন্য তুমি কি তোমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে? পড়ায় মন দাও। একটু বয়স বাড়লে আশা করি, তোমার ওজনও বাড়বে এবং তুমি খেলতেও পারবে।
|
|
কয়েক জন বান্ধবী আছে, যারা আমার ডাকনাম ধরে ডাকে। আমার খুব খারাপ লাগে।
পৌলমী চট্টোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, বর্ধমান হরিসভা হিন্দু গার্লস হাই স্কুল |
|
পৌলমী, মনে হচ্ছে ডাকনামটা তোমার পছন্দের নয়। তুমি নিশ্চয় বন্ধুদের বারণ করেছ ধরে নিচ্ছি। আচ্ছা, তারা না শুনলে তুমি কী করতে পারো? নিজের খারাপ লাগাটা দূর করতে পারো। অনেকের ডাকনাম হয়তো তোমার থেকেও খারাপ। আবার ডাকনামের সঙ্গে বাড়ির লোকের এবং বন্ধুদেরও ভালবাসা জড়িয়ে থাকে। সেটা বুঝতে পারলে হয়তো খারাপ লাগা কমে যাবে। |
অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় মাঝারি ফল করেছি বলে মা আমার অত্যন্ত প্রিয় ক্রিকেট ম্যাচগুলি দেখতে দেবেন না বলেছেন।
আকাশ বিশ্বাস। নবম শ্রেণি, সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউশন |
|
|
আকাশ, তুমি তো বেশ উঁচু ক্লাসে পড়ছ। তাই, এ বার তোমার দায়িত্ব তোমায় বুঝতে হবে। তুমি মায়ের সঙ্গে চুক্তি করতে পারো যে ম্যাচ দেখার আগে তুমি সমস্ত পড়া তৈরি করে নেবে। তাতে যদি রাজি হয়ে মা তোমায় ম্যাচ দেখতে দেন, তা হলে তোমার সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আর মা যদি রাজি না হন, তা হলে এই বছরটা ভাল ফল করো, যাতে সামনে বছরের ক্রিকেট ম্যাচগুলো দেখতে পারো। |
|
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের।
চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল, রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|