রাস্তায় তিন মোটরবাইক আরোহীকে আটকে টাকা চেয়ে না পেয়ে মারধর করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সিভিক পুলিশের দুই কর্মী।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের আই সেক্টরের কাছে ওই ঘটনায় ধৃতেরা হলেন অমিত ঘুঘু ও বিজয় পাল। অমিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘুঘুর ছেলে। শুক্রবার এ ব্যাপারে অভিযোগ হয়। ওই দিনই অভিযুক্তদের ধরা হয়। শনিবার আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মৌলানা আজাদ রোডের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী চন্দন দে দুই সঙ্গী সৌরভ কুমার ও শান্তনু বেরার সঙ্গে একটি মোটরবাইকে চেপে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে যাচ্ছিলেন। রঘুনাথপুরেরই বাসিন্দা চন্দনবাবুর দাবি, মহিলা কলেজের সামনে মোটরবাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দুই যুবক তাঁদের মোটরবাইক থামাতে বলে।
তাদের ছিনতাইবাজ ভেবে দ্রুত মোটরবাইক চালিয়ে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান চন্দনবাবুরা। মোটরবাইকে পিছু ধাওয়া করে এসে তাঁদের পথ আটকায় ওই দু’জন। নিজেদের পরিচয় দেয় সিভিক পুলিশের কর্মী হিসেবে। তারা থামতে বলার পরেও চন্দনবাবুরা মোটরবাইক দাঁড় করাননি কেন তা জানতে চায়।
চন্দনবাবু বলেন, “বললাম, সাদা পোশাকে থাকায় ওঁদের সিভিক পুলিশের কর্মী বলে বুঝতে পারিনি।” তাঁর অভিযোগ, “ওঁরা আই-কার্ড দেখিয়ে বললেন, ‘থামতে বললাম, দাঁড়ালে না। জোরে গাড়ি চালাচ্ছ। সবার মাথায় হেলমেট নেই। টাকা দাও, না হলে কেস দেব’।
আমরা কেস দিতে বলায়, ওঁরা বললেন, ‘আগে টাকা দাও’। প্রতিবাদ করায় ওঁরা আমাকে পাশের নর্দমায় ফেলে মারধর শুরু করেন। বাধা দিতে গিয়ে আমার সঙ্গীরাও মার খায়।”
সৌরভবাবু জানান, সেই সময়ে পুলিশের একটি টহলদার গাড়ি আসতে দেখে সিভিক পুলিশের দুই কর্মী এলাকা ছেড়ে চলে যান। চন্দনবাবুকে চিকিৎসার জন্য দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খোঁজখবর করে ওই দুই সিভিক পুলিশ কর্মীর নাম ও ঠিকানা জোগাড় করে শুক্রবার রাতে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
দুর্গাপুর কমিশনারেটের এক পুলিশ-কর্তা জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কাউন্সিলর কৃষ্ণা ঘুঘু এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। |