|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
এখনও রহিল ধাঁধা |
বইপোকা |
সংশোধিত হইল রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্র ২ (বিশ্বভারতী)। ১৩৪৯ -এর আষাঢ়ে প্রকাশিত রথীন্দ্রনাথকে লিখিত পত্রের এই সংকলনটির কিছু কপিতে ছিল মুসোলিনিকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র। ২১ নভেম্বর ১৯৩০-এ রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন, ‘...তিনি (ফর্মিকি) বললেন মুসোলিনিকে একখানা চিঠি লিখলেই সমস্ত জঞ্জাল সাফ হয়ে যায়। আমি তাঁকে বলেচি, চিঠি লিখব। চিঠিটা এইসঙ্গে পাঠাই।’ শ্রাবণ ১৪১৯-এ প্রকাশিত দ্বিতীয় সংস্করণেও বাদ যায় মুসোলিনিকে লিখিত পত্র। সম্প্রতি তাহা অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। কিন্তু নূতন সংস্করণে নহে, পুরাতন সংস্করণেই শেষ ভাগে জুড়িয়াছে পত্রটি। সুতরাং উত্তরকালে ধাঁধার অবকাশ রহিয়াই গেল। ঠিক যেমন ধাঁধা তৈরি হইয়াছিল পূর্ব-সংস্করণ লইয়া। শঙ্খ ঘোষ বইয়ের ঘর-এ লিখিয়াছেন: ‘আমার বইয়ের ১০৯-১০ পৃষ্ঠায় যে-চিঠি ছাপা আছে, আর তার সঙ্গে ১০৬-০৯ পৃষ্ঠায় রথীন্দ্রনাথকে লেখা তাঁর যে কথাগুলি তা একেবারে ‘নেই’ হয়ে গেল, অথচ পৃষ্ঠাসংখ্যা রইল ঠিকঠাক? পরিষদের সে-বইও তো প্রথম সংস্করণের, কেননা ১৯৪২ সালের পরে তখনও পর্যন্ত (এবং আজও পর্যন্ত) সে-বইয়ের তো কোনো মুদ্রণই হয়নি আর! পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, ঠিকই, কোনো কপিতেই পাচ্ছি না সেই চিঠি, এমনকী রবীন্দ্রভবনের কপিতেও না। তার মানে, বইটি ছাপা হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চয় কারও চোখে পড়ে যায় অনেকের কাছে অনভিপ্রেত ওই চিঠিখানা, পরিকল্পিতভাবেই পালটে ফেলা হয় তাকে, কেবল অগ্রিম-বাঁধিয়ে-ফেলা ইতস্তত কয়েকখানা বই হয়তো ছিটকে যায় এধার-ওধার...’। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করিবেন, আশা করা যায়। |
|
|
|
|
|