|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
স্বস্তি পাখিদের |
...আঁধার ভাল
কৌশিক ঘোষ |
পাখিদের স্বার্থে এ বার টালা ঝিল পার্কের জোরালো আলো নিভিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। নয়া নির্দেশ অনুযায়ী, পার্কে কোনও জোরালো আলো জ্বলবে না। তবে নিরাপত্তার খাতিরে বাইরের কিছু আলো জ্বালিয়ে রাখা হবে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “টালা ঝিল পার্কের মতো বড় উদ্যানে পাখিরা যাতে নিরুপদ্রবে থাকতে পারে তাই জোরালো আলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে কিছু আলো জ্বালিয়ে রাখতেই হবে। |
|
এ ধরনের পরিবেশে পাখির সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছি।” গত পুরবোর্ডের আমলেই শহরের বড় বড় পার্কে পাখিদের নিরুপদ্রবে রাখতে পরিবেশ দফতর আলোর ব্যবহার কমাতে নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন মোহরকুঞ্জের আলো নেভানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
উত্তর কলকাতার অন্যতম বড় উদ্যান টালা ঝিল পার্ক। ঝিলের মাঝখানে একটি দ্বীপ রয়েছে। এই দ্বীপে পুরনো একটি আমগাছ ছিল। ওই গাছে অনেক পাখি আসত। কিন্তু পোকা লেগে সেই গাছটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন এই পার্কে টিয়া, শালিক, চড়ুই, চন্দনা, ফিঙে, পানকৌড়ি, বক-সহ নানা প্রজাতির পাখি আসে। কিন্তু জোরালো আলোর জন্য পাখিদের অসুবিধা হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ। তাই বক, পানকৌড়ির মতো কিছু পাখি আসা কমে গিয়েছে।
‘প্রকৃতি সংসদ’-এর সম্পাদক তথা পাখি বিশেষজ্ঞ কুশল মুখোপাধ্যায় বলেন, “আলো জ্বললে রাতে পাখিদের বিশ্রাম নিতে অসুবিধা হয়। তাই যেখানে পাখি থাকে সেখানে জোরালো আলো লাগানো উচিত নয়।” |
|
কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্পে ২০০৪-’০৬-এ টালা ঝিল পার্কের সংস্কার করা হয়। নানা ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। পুরসভার উদ্যান বিভাগের দাবি, বনবীথিতে ফলের গাছ বাড়ায় পাখির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। ঝিলের মধ্যবর্তী দ্বীপের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সেতু তৈরি করা হয়। দ্বীপটিকেও আলোকিত করা হয়। তৎকালীন পুরবোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই দ্বীপে একটি রেস্তোরাঁ তৈরি করা হবে। কিন্তু রেস্তোরাঁ হলে পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে বলে পরিবেশ দফতর ছাড়পত্র দেয়নি। কলকাতা পুরসভার এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তথা পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ সাহা বলেন, “পুর-নির্দেশিকা মেনেই টালা ঝিল পার্কের জোরালো আলো রাতে নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে, নিরাপত্তার খাতিরে পার্কের বাইরের রাস্তায় কিছু আলো জ্বালিয়ে রাখা হচ্ছে।” |
ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী্ |
|
|
|
|
|