খেলা
মাঠে ফেরা
মাঠে খেলছেন দাদু। গ্যালারিতে উৎসাহ জোগাচ্ছে নাতি, নাতনিরা। সম্প্রতি এই উল্টো ছবিই দেখা গেল ডুমুরজলা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে। সৌজন্যে ‘প্রত্যাবর্তন’-এর তৃতীয় ম্যারাথন ফুটবল লিগ। ফাইনালে নীল দল, সাদা দলকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়। গোলটি করেন চিন্টুু কুমার।
সংগঠনের সভাপতি বিনয় পাঁজা জানান, ২০১০-এ হাতেগোনা কয়েক জনকে নিয়ে ‘প্রত্যাবর্তন’-এর পথ চলা শুরু। এঁরা নিয়মিত প্রাতর্ভ্রমণ করতে আসতেন। সঙ্গে চলত ফুটবল চর্চা। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ৮০। নিজেদের মধ্যে পাঁচটি দল গঠন করে তিন মাস ধরে চলে এই প্রতিযোগিতা। বিমল রায়, জগন্নাথ মণ্ডল, নিরাপদ কুণ্ডু, গৌতম রায়, শুভেন্দু কুণ্ডরা মেতে উঠলেন লড়াইয়ে।
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
মাঠ সচিব সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই প্রতিযোগিতায় ৭০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে। জয়ী নীল দলের অধিনায়ক প্রশান্ত রায় বলেন, “এ বার প্রথম জিতলাম। পরিবারের সবাই খেলা দেখতে এসেছেন। খুব খুশি।” প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হলেন গোলকিপার বিমল রায়। তাঁর বয়স ৭৭।
তিনিই এই প্রতিযোগিতার প্রবীণতম খেলোয়াড়। সারা প্রতিযোগিতায় মাত্র এক বার পরাজিত হয়েছেন।
নজর কাড়লেন জয়ী দলের স্ট্রাইকার জগন্নাথ মণ্ডল। আগে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন। পরে কর্মজীবনের ব্যস্ততার জন্য চর্চা বজায় রাখতে পারেননি। অবসরের পরে আবার মাঠে ফিরে এসছেন। রানার্স দলের অধিনায়ক গৌতম রায়ের রানার্স হয়ে কোনও আফসোস নেই।
রানার্স দলের আর এক সদস্য ষাটোর্ধ্ব নিরাপদ কুণ্ডুর কথায়: “নাতি-নাতনির সামনে খেলার আনন্দই আলাদা।” সব খেলোয়াড়কে পোশাক ও ক্রীড়া সরঞ্জাম দেওয়া হয়। ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন খেলোয়াড় জামশেদ নাসিরি, বিনয় পাঁজা, সুকান্ত লাহা, গুরুচরণ দাস, অজয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.