বেড়ানো...
সাড়ে তিয়াত্তর
ম্যাচ শুরুর আগেই ট্রফি প্রায় পকেটে ব্যাঙ্কক-পাটায়ার। কাছাকাছি দাঁড়িয়ে হংকং-ম্যাকাও, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া। পুজোয় এ বার বিদেশ যাওয়াতে পুরো ‘ধুম লেগেছে হৃদকমলে’।
বেড়ানোর পুরনো গল্পটাকে হেলিকপ্টার শটে ধোনি স্টাইলে মাঠের বাইরে ফেলে দিয়েছে আনকোরা এক বিমান পরিষেবা।
বছর পাঁচ ধরে সংস্থাটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। সারা দিনে দু’বার। এবং অবিশ্বাস্য কম ভাড়ায়। যে জন্য সাত-আট মাস আগে টিকিট কাটতে হচ্ছে, এমন নয়। শুধু ওদের সাইটে অফার দেখে ঠিকঠাক ব্যাটে-বলে করলেই কখনও সখনও ছ’-সাত হাজার টাকাতেও তাইল্যান্ড যাওয়া এবং আসা মেরে দিতে পারেন।
ফলে মধ্যবিত্ত বাঙালিও মহা আহ্লাদে ‘কালাপানি’ পেরোচ্ছেন। “পুজোয় আমাদের প্রায় ৮০-৮৯ শতাংশ বুকিং শেষ,” বলছিলেন সংস্থার প্রতিনিধি দেবারতি চক্রবর্তী।
তবে শুধু জলের দরে বিমানে বিদেশ দেখা নয়, তার সঙ্গে যোগ করুন ফুলটুস মস্তি। “সাফারি ওয়ার্ল্ড ট্যুর, টাইগার পার্ক, কোরাল আইল্যান্ড... বাচ্চারাও চুটিয়ে মজা লুটছে। আজকাল পাসপোর্ট পাওয়া তো টুসকি মারার চেয়েও সহজ। ভিসা কিছু দেশে ‘অন অ্যারাইভাল’। এমনকী কোনও কোনও জায়গায় ফুটো কড়িটাও লাগছে না। এর পর আছে হাত দুলিয়ে নির্ঝঞ্ঝাট ঘোরা, অনেক সাফাসুফা একটা জায়গায়। পরিকাঠামোর তো তুলনাই নেই। ব্যাঙ্কক-পাটায়া পঁচিশ-ছাব্বিশ হাজার টাকায় প্যাকেজ ট্যুর। রাজস্থান যেতেও তার চেয়ে বেশি লাগে। কেন যাবে না বলুন তো?” বলছিলেন পর্যটন-বিশেষজ্ঞ সম্রাট চৌধুরী।
‘হাই-এন্ড’ গ্রুপ হলে বাজেট একটু বাড়িয়ে উড়ছেন বেজিং-সাংহাই, নাইরোবি-মাসাইমারা, মরিশাস। খরচ মাথা পিছু সত্তর-পঁচাত্তর থেকে এক বা দেড় লাখ টাকা। বলছিলেন পুষ্পেন্দু সামন্ত। পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউটেন্ট। কিন্তু বছরভর বিভিন্ন মাপের দল নিয়ে শখের ‘টুরিস্ট গাইড’য়ের কাজ করেন। দেশে তো বটেই, বিদেশেও। বিনা পয়সায় নিয়ে যান অসহায়দের।
তা’হলে কি দেশের স্পটগুলোর অবস্থা ঘেঁটে ঘ? “না, তা কেন? দেশে ঘোরার লোকজন এখনও অনেক বেশি। বিশেষ করে পরিবার নিয়ে অনেকে মিলে ঘোরা যাঁদের শখ।” বলছিলেন দক্ষিণ কলকাতার এক ভ্রমণ সংস্থার কর্ণধার শৈবাল পাল।
এ বার একেবারেই ফর্মে নেই কুমায়ুন-গরবাল। কাশ্মীর বাদ দিলে লড়াইটা অনেকটাই দক্ষিণ, পশ্চিম আর উত্তর-পূর্বের।
কথা হচ্ছিল গরবাল মণ্ডল বিকাশ নিগমের জন সংযোগ অফিসার জিতেন্দ্রপ্রসাদের সঙ্গে। বললেন, “সেপ্টেম্বরের আগে পরিষ্কার ছবিটা দেওয়া সম্ভব না।”
কুমায়ুন কিন্তু তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে। নৈনিতাল থেকে ওদের ট্যুরিস্ট ডেভলপমেন্ট অফিসারের রীতিমতো ভারিক্কি গলায় দাবি, “উত্তরাখণ্ডে এখন আর সমস্যা নেই। শুধু ধরচুলা থেকে তাওয়াঘাট, মাংগাটি, পাঙ্গু, নারায়ণ আশ্রম পর্যন্ত আটকে আছে। ধসের জন্য।”
কলকাতায় কুমায়ুনের জনসংযোগ অফিসার সতেন্দ্রপ্রাসাদ যোগ করলেন, “আলমোড়া থেকে খৈরনার মাঝে একটা ব্রিজ ভেঙে গিয়েছিল। এখন রাস্তাটা কাঁচা, কিন্তু গাড়ি চলছে। বুকিংও নিচ্ছি। তবে প্রাকৃতিক কারণে কেউ যেতে না পারলে আমরা ওই টাকাতে পরের দিকে বুকিং শিফট করিয়ে দেব।”
তবে এ বছর পুজোর বুকিং এখন সবে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। শৈবালবাবুর মতে, “তার অন্যতম কারণ ট্রেনের টিকিট কাটার সময় চার মাস থেকে দু’মাসে নেমে আসা। লোকজন ধীরে খেলছে। সবাই কিন্তু বসে নেই। বিশেষ করে সাততাড়াতাড়ি যাঁরা প্লেনের টিকিট কেটে রেখেছেন।” সেটা শুধুমাত্র কাশ্মীরের নমুনা নিলেই টের পাওয়া যায়। ভূস্বর্গের বুকিং পেতে হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে।
মডেল: আবির মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্র।
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল
অন্যান্য জায়গা? মধ্য কলকাতার এক ভ্রমণ সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ মদন অগ্রবাল জানালেন, “খোঁজখবর নেওয়া ভালমাত্রায় শুরু হয়েছে। ট্রেন্ডটাও বোঝা যাচ্ছে।”
সেখানেও কিন্তু নতুন হাওয়া। আগে ছিল, “টিভি পাব তো?” টি-টোয়েন্টি জমানায় চেক লিস্টে নতুন আমদানি, “মোবাইল টাওয়ার থাকে তো? চার্জ দেওয়া যাবে তো? ইন্টারনেট অ্যাকসেস?” এ পর্যন্ত তা’ও এক রকম। কিন্তু তেমন গুরুত্বপূর্ণ পেশার কেউ হলে জানতে চান, “ওয়াইফাই আছে তো হোটেলে?” এমন ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’ কেস হলে বড় শহর ছাড়িয়ে কিন্তু বেশি দূরে যাওয়া চলে না। সাফ কথা ট্র্যাভেল এজেন্টদের।
কার্ডিও সার্জেন কুণাল সরকার। পুজোয় অস্ট্রিয়ায় একটা কনফারেন্স সেরে সস্ত্রীক ছুটি কাটাতে যাবেন লন্ডনে। বললেন, “অনেকে শুনি, ছুটিতে দিব্যি সুইচ অফ করে দেন। আমার তাতে খুব অস্বস্তি হয়। দেশে বা বিদেশে যেখানেই হোক, মোবাইল বা নেট অ্যাকসেস না পেলে শান্তি নেই।”
সন্দীপ্তা বসু। সেক্টর ফাইভের কর্মী। জঙ্গল বলতে পাগল। বলছিলেন, “বহু দিন ধরে কেরলের পেরিয়ার যাওয়ার কী ইচ্ছে। যেতে পারি না। শুনেছি ওখানে টাওয়ার সমস্যা হয়। গতবার কেরল গেলাম। কিন্তু ত্রিবান্দ্রাম-কোভালাম-আলেপ্পি। এবার আন্দামান। বিশেষ করে নীল আইল্যান্ড।”
নীলের জন্য ফিদাহ্ এবার অনেকেই। পোর্টব্লেয়ার থেকে সওয়া দু’ঘণ্টা। ছোট্ট দ্বীপ। যার এক দিকে সূর্য ওঠে। অন্য পারে বুকে ঝড় তুলে অস্ত যায়। আকাশে তখন লাট খাওয়া গলানো সোনা। দ্বীপের এক প্রান্তে প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে ওঠা কোরালের একটা ব্রিজ। তার সামনে আছড়ে পড়ে স্বচ্ছ নীল সাগর। গভীর জলে ফণা তুলে দাঁড়িয়ে কোরাল পাহাড়। চাইলে জাহাজ থেকে ধরাচুড়ো পরে যে কেউ সেই পাহাড়ের মাথায় ‘ভিকট্রি ল্যাপ’ দিতে পারেন।
বান্ধবগড়
আন্দামান এবার পুজোয় হটকেক। বিশেষ করে যাঁদের হাতে সাত-আট কি দশ দিনের মতো সময়। পাশাপাশি এ বছর হট সিটে এক নম্বর কাশ্মীর। ডাগ আউটে প্যাড গ্লাভস পরে রেডি অরুণাচল, গোয়া, মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়-কানহার মতো জঙ্গল, কেরল ...। এমনকী ভুটান। রিজার্ভ বেঞ্চে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে রাজস্থান, ওড়িশা। তার পরেই গুজরাট।
আট-দশ দিন থেকে দিন দুয়েক ছেঁটে দিতে চাইলে তারও একটা চোরা টিপস দিলেন শৈবালবাবু, “ধরুন কেরল যাবেন। আর ত্রিবান্দ্রমের প্লেন ভাড়া হাতের বাইরে। তখন চেন্নাই পর্যন্ত প্লেনে যেতে বলছি। তারপর ট্রেন। কিংবা কাশ্মীর যেতে সরাসরি জম্মু না গিয়ে প্লেনে দিল্লি। তারপর ট্রেন। তাতে সময় তো কমেই। সব মিলিয়ে দেখবেন খরচও মোটেই বাড়ে না।”
ছুটি চার-পাঁচ দিনের বেশি না হলে উত্তরবঙ্গের পাহাড় বা ডুয়ার্সকে চাঁদমারি ধরছেন অনেকে।
যার মধ্যে ‘অলটাইম ফেভারিট’ দার্জিলিং বা ডুয়ার্স ছাড়া খুব চাহিদা কোলাখাম, আড়িটার বা কালিম্পঙের বেশ কিছু কমচেনা স্পটের। আগবাড়িয়ে তার বেশ কয়েকটার খোঁজ দিচ্ছেন বহু ভ্রমণ সংস্থার কর্মী। তিনচুলে যেমন। ঘুম থেকে ১৭ কিমি। হোম স্টে-তে থাকা। ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার পাহাড়িয়া সেই বাড়ির সবার সঙ্গে। এ ছাড়া সারা দিন পাহাড় চেটেপুটে এলিয়ে গড়িয়ে বাঁচা। খবর দিলেন সম্রাটবাবু।
বিদেশের চেকলিস্ট
• মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জন্য দেশভিত্তিক অ্যাডাপটার
• ইন্টারন্যাশনাল কলিং কার্ড/ সিম কার্ড। বিদেশেও বিমানবন্দরে পাবেন
• রিটার্ন এয়ার টিকিট (কনফার্মড)
• ওভারসিজ ট্র্যাভেল ইন্সিওরেন্স
• ওষুধ, অবশ্যই প্রেসক্রিপশন সমেত
• ক্রেডিট কার্ড
“কালিম্পং থেকে ঋষিখোলার রাস্তায় বাঁ দিকে বার্মিক একটা নতুন স্পট। সেখান থেকে ইচ্ছে গ্রাম। হাজার হাজার প্রজাপতি পাবেন সেখানে। গাছগাছালি ছাওয়া ক্যাসুরিনা রোডটা ভীষণ মায়াবী। লোলেগাঁও থেকে ১৩ কি.মি. দূরে চারকোলে, কিংবা ১৫ কি.মি. দূরে সামতাহারও অসম্ভব নির্জন। সাহেবি আমলের কাঠের বাংলো, কালিম্পঙের এক কর্নেলের তৈরি।” জানালেন মধ্য কলকাতার এক ভ্রমণ সংস্থার প্রতিনিধি তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায়। পাহাড়প্রেমীদের উৎসাহ প্রবল। কিন্তু তাতেও দেখা গেল ওরা-আমরা ভাগাভাগি।
বছর চব্বিশের অরিত্র বসু যেমন বললেন, “এ সব মধ্যবয়েসের আঁতলেমি ভাই!!” তাঁদের আবার পাহাড়ি গ্রাম-ট্রাম পোষায় না। “ক্যাফে আছে? পাব? গুগ্ল ম্যাপটা দেখতে পাব?” নাহ্। “তবে, লেটস গো গোয়া ইয়ার, বিন্দাস!”
সদ্য চাকরিতে ঢোকা অরিত্র আর তাঁর বন্ধুরা এবার পুজোয় উত্তর গোয়ায় থাকবেন। কোলাংগুটে, বাগা, বাগাটোরের কোথাও একটা। তা’ও গেস্ট হাউসে নয়, বিচের ওপরে কাঠের তৈরি ‘স্যাক’য়ে। তার জন্য কোনও ট্র্যাভেল এজেন্ট? “ফুস্, কী যে বলেন, মধুবালার যুগে পড়ে আছেন দেখছি!” ‘ইজি গো’, ‘ক্লিয়ার ট্রিপ’, ‘মেক মাই ট্রিপ’ তন্ন তন্ন করে পেড়ে ফেলছেন ওঁরা। সব ‘কমেন্ট’ খুঁটিয়ে দেখেছেন। মানডোভি নদীর ওপর একটা জাহাজে ক্যাসিনোর খবরটা ওদের “উউউউ, জাস্ট হিলা দিয়া বস্!”

যোগাযোগ: ৯৮০৪৮৩৫৪৫০ (পুষ্পেন্দু সামন্ত), ৯৮৩১৯ ৪৮৬৩৪ (সম্রাট চৌধুরী),
৯৮৩১০ ২৪৬২৮ (শৈবাল পাল), ৯৮৩০০ ৩২৯৬৯ (ইন্দ্রজিৎ সরকার), ২২১২ ০৮৭০ (পবন অগ্রবাল)

সার্কিট ট্যুর
কর্নাটক (৫ দিন): মাইশোর-মাদিকেরি-শিবসমুদ্রম। প্লেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ১০-১২ হাজার টাকা
মহারাষ্ট্র (৫ দিন): পুণে-লোনাভালা-খান্ডালা। প্লেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ১৫-১৮ হাজার টাকা
নেপাল (৭ দিন): কাঠমান্ডু-পোখরা-চিতওয়ান। প্লেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ৩০-৩৫ হাজার টাকা
সিকিম (৬ দিন): রাবাংলা-ইয়াকসাম। ট্রেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ১৫-২০ হাজার টাকা
ভুটান (৫ দিন): থিম্পু-পারো-পুনাখা। প্লেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ২০-২৫ হাজার টাকা
ওড়িশা (৫ দিন): রম্ভা-বরকুল। ট্রেন ভাড়া ছাড়া দু’জনের খরচ ১০-১২ হাজার টাকা

অফবিট
লেকসাগর (কেরল)
৫ দিন
ত্রিবান্দ্রম থেকে ৪০ কিমি দূরে ভারকালা। সেখান থেকে ১০কিমি দূরে কাপ্পিল সৈকত। তার লাগোয়া পারাভুর হ্রদ। হ্রদ আর সাগরে মাঝে এক ফালি সৈকত। লেক সাগর। নারকেল গাছে ছাওয়া। সবুজে সবুজ, ব্যাকওয়াটার। কলকাতা থেকে প্লেনে ত্রিবান্দ্রম। তারপর গাড়িতে ঘণ্টা দুই। প্লেন ভাড়া ছাড়া দুজনের খরচ ১৫ হাজার টাকা

হাম্পি (কর্নাটক)
৬ দিন
তুঙ্গভদ্রার তীরে ১৩ শতকের বিজয়নগর রাজাদের তৈরি প্রাচীন শহর। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়া। ৩৩ কিমি জুড়ে প্রাসাদ, মন্দির, পুরনো শহরের নিদর্শন। চার ধারে সবুজ। টিলা। নদী বইছে গা ঘেঁষে। হাওড়া থেকে ভাস্কোগামী ট্রেনে হসপেট। সেখান থেকে ১৩ কিমি হাম্পি। থাকা কর্ণাটক ট্যুরিজিমের ডেরায়। ট্রেন ভাড়া বাদে দু’জনের খরচ ১০ হাজার টাকা
তথ্য: অয়ন গঙ্গোপাধ্যায়

দেশের বাইরে
৩ রাত ফুকেট, ১ রাত ব্যাঙ্কক
(৪ রাত-৫ দিন)
ফিফি আইল্যান্ড, জেমসবন্ড আইল্যান্ড, ব্যাঙ্কক শহর, মন্দির। কলকাতা থেকে প্লেনে যাওয়া। খরচ মাথাপিছু ৩২হাজার টাকা

২ রাত পাটায়া, ২ রাত ব্যাঙ্কক
(৪ রাত,৫ দিন)
কোরাল আইল্যান্ড, জেমস বন্ড আইল্যান্ড, ব্যাঙ্কক শহর, মন্দির, সাফারি ওয়ার্ল্ড, মেরিন পার্ক। কলকাতা থেকে প্লেনে যাওয়া। খরচ মাথাপিছু ২৭৫০০ টাকা

শ্রীলঙ্কা
(৪ রাত, ৫ দিন)
কলোম্বো শহর, নিগোম্বো বিচ, নুওয়ারা ইলিয়া রিসর্ট, চা বাগান, ঝরনা। চেন্নাই থেকে প্লেনে যাওয়া। খরচ ৪৫ হাজার টাকা

বাংলাদেশ
(৯ রাত, ১০দিন)

শিলাইদহ কুঠিবাড়ি, যশোরে মাইকেলের বাড়ি, কুষ্ঠিয়ায় লালনের মাজার, মহেশখালি আইল্যান্ড, রঙ্গমতী, কক্সবাজারের বিচ, ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর বাড়ি, ন্যাশনাল মনুমেন্ট, ঢাকেশ্বরী মন্দির, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট, নজরুলের সমাধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। চট্টগ্রামে অস্ত্রাগার, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার সমাধি। কলকাতা থেকে বাসে যাওয়া। খরচ মাথাপিছু ২৫ হাজার টাকা

কাম্বোডিয়া
(৩ রাত,৪ দিন)
সিয়েম রিপ-আঙ্গোর ওয়াট ও আঙ্গোর থোন, শহর দেখা। কলকাতা থেকে প্লেনে। খরচ ৪৫ হাজার টাকা

চিন
(৮ রাত, ৯ দিন)
চির বসন্তের কুর্মিং, জিয়ান, বেজিং, সাংহাই, সুঝাও। কলকাতা থেকে প্লেন যাওয়া। খরচ মাথাপিছু ৮৫ হাজার টাকা

হংকং-ম্যাকাও
(৫ রাত, ৬ দিন)
হংকংয়ে শহর, ভিক্টোরিয়া পিক, ডিজনিল্যান্ড, মাদাম ত্যুসোর মিউজিয়াম, ম্যাকাওতে আইল্যান্ড ট্যুর, ভেনেসিয়াম ম্যাকাও (বিশাল হোটেল, এখানে ক্যাসিনো খেলা হয়), সেনঝেনে উইন্ডোজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ট্যুর। কলকাতা থেকে প্লেন যাওয়া। খরচ ৮৪ হাজার টাকা

সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া
(৫ রাত, ৬ দিন)
সিঙ্গাপুরে সেন্টোজা আইল্যান্ড, ইউনিভার্সাল স্টুডিয়ো, শহর, মালয়েশিয়াতে ডেন্টিং আইল্যান্ড, কুয়ালালামপুর শহর, কেএল টাওয়ারে ওঠা। কলকাতা থেকে প্লেনে যাওয়া। খরচ মাথাপিছু ৬৭-৬৮ হাজার টাকা
তথ্য: ইন্দ্রজিৎ সরকার


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.