জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য অভিযানের (এনআরএইচএম) ছয় সদস্যের একটি দল বৃহস্পতিবার মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শন করল। সঙ্গে ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দুই আধিকারিক। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ ওই দল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছয়। পরিদর্শন চলে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। প্রসূতি বিভাগে কেন স্যালাইনের পেটি ডাঁই করে রাখা রয়েছে, সে ব্যাপারে দলের সদস্যেরা জানতে চান। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্টোর রুম থাকা সত্ত্বেও প্রসূতি বিভাগে স্যালাইনের পেটি রাখা রয়েছে কেন, সে ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা। পরিদর্শনকারী দলের সদস্যেরা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন, বেশি সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দিতে গিয়ে মান যেন না কমে যায়।
এই হাসপাতালের উপরে দু’লক্ষেরও বেশি মানুষ নির্ভর করেন। এখানে মা ও শিশুদের কেমন পরিষেবা দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে জানতে চান দলের সদস্যেরা। |
জননী সুরক্ষা যোজনা, শিশু সুরক্ষা কার্যক্রম-সহ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কতটা খরচ করা হয়, তা জানতে নথিপত্র পরীক্ষা করেন তাঁরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক তথা বিএমওএইচ কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে দলের সদস্যেরা জানান, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা খরচ করতে না পারলে দ্রুত জেলায় পাঠিয়ে দিতে হবে। বিকেলে কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “রাখার জায়গার অভাবেই স্যালাইনের পেটি প্রসূতি বিভাগে রাখা হয়েছে এ কথা ওঁদের জানিয়েছি। এ দিন পরিদর্শন চলাকালীন বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন দলের সদস্যেরা। যার মধ্যে একটি হল আশা কর্মীদের কাজের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে রাখা।” কালনার সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডলের বক্তব্য, “মূলত কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কাজ কী ভাবে চলছে দলটি এ দিন তা মন্তেশ্বরে এসে দেখে যায়।” মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ সেরে দলটির কালনা মহকুমা হাসপাতালে যাওয়ার কথা ছিল। যদিও বিকেলে জানা যায়, এই হাসপাতালে তাঁরা যাচ্ছেন না।
|
হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। রান্নাঘরের অবস্থাও অস্বাস্থ্যকর। এমনই নানা অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন কংগ্রেস কর্মীরা। পরে হাসপাতাল মোড়ের কাছে প্রায় ২০ মিনিট তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন। হাসপাতালে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগও করেছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক পার্থপ্রতীম বন্দোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তা ছাড়া রান্নাঘরের অবস্থাও অপরিচ্ছন্ন। তাই এই প্রতিবাদ।” হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন বলেন, “কংগ্রেসের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে খাবার সরবরাহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে খাবারের মান উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।” |