স্থলসীমান্ত চুক্তি মানার আর্জি
দিল্লি এসে জেটলি-সুষমার দ্বারস্থ দীপু মণি
ভারতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের মেয়াদ শেষের মুখে। বাংলাদেশেও নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। তার আগে সাম্প্রতিক পুর নির্বাচনগুলিতে পর্যুদস্ত হয়েছে শাসক আওয়ামি লিগ। এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূত হিসাবে কিছুটা মরিয়া হয়েই আজ ভারত সফর শুরু করলেন বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি।
সময় আর বেশি নেই। তিস্তা এবং স্থলসীমান্ত চুক্তি রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটা শেষ চেষ্টা করতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ-সহ দিল্লির রাজনীতিকদের সঙ্গে কাল বৈঠকে বসবেন দীপু। গত দু’বছর ধারাবাহিক চেষ্টা সত্ত্বেও জট কাটেনি। ঢাকা জানে যে তিস্তা চুক্তি আটকে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তিতে। অদূর ভবিষ্যতে সেই জট খোলা দুরূহ। সে জন্যই স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে এক বার শেষ চেষ্টা করতে উঠে পড়েছে ঢাকা। সে জন্যই সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিদের সঙ্গে পৃথক ভাবে বৈঠকে বসে দীপু তাঁদের বাধ্যবাধকতা বোঝাতে চাইছেন।
গোড়ায় বিজেপি নেতৃত্ব স্থলসীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি সমর্থন করতে রাজি ছিলেন। কিন্তু দলের অসম ও পশ্চিমবঙ্গ শাখার আপত্তিতে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পিছিয়ে যান। এখন ভোটের মুখে বিজেপি এমন কোনও বিল পাশ করাতে রাজি নয়, সরকার যার কৃতিত্ব নিতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সুর যাতে কেটে না যায়, সে জন্য যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে হোম ওয়ার্ক সেরে এসেছেন দীপু মণি। বিশেষ যত্নে নোট তৈরি করে আনা হয়েছে ঢাকা থেকে।
নয়াদিল্লির একটি অনুষ্ঠানে দীপু মণি ও শশী তারুর। ছবি: পিটিআই।
এটা স্বাভাবিক যে এই চুক্তি দু’টিতে অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা রয়েছে। আজ এই আবহেই দিল্লিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। সে দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন দীপু। বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ ৪২ বছর ধরে এই বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছেন। নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমরা আন্তর্জাতিক বিধি মেনে চলেছি।”
বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেক বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে। যার ফলে ভারত-বাংলাদেশের পুরনো বন্ধন আবার নতুন করে গড়ে উঠেছে।” ভারতীয় নেতৃত্বের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “আসুন আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠি। আর সেই বৃদ্ধির যোগসূত্র হোক নদী।” সাম্প্রতিক পুরভোটগুলিতে বিপর্যয় নিয়ে দীপু মণির বক্তব্য, “সাধারণ নির্বাচন এবং স্থানীয় ভোট এক নয়। এখনও কয়েক মাস রয়েছে। এখনও আমাদের দলের মধ্যেও অনেক কিছু বদলাতে হবে।” দীপু মণির ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক উপলক্ষ আর কে মিশ্র স্মারক বক্তৃতা দেওয়া। আজ সংবাদমাধ্যম, কূটনৈতিক কর্তা এবং বেশ কিছু রাষ্ট্রদূতের সামনে ‘ভারত-বাংলাদেশ ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় নদী অববাহিকা ভিত্তিক যৌথ ব্যবস্থা’ বিষয়ক বক্তৃতাটি দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, এবং জীবনযাত্রাকে সমৃদ্ধ করতে এই যৌথ অববাহিকা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দু’দেশের মধ্যে ‘বিশেষ সম্পর্ক’ গড়ে তুলেছেন এ কথা জানিয়ে দীপু বলেছেন, “আমাদের দু’দেশের সম্পদ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এগিয়ে যাওয়ার সুত্র।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.