নালিকুল স্টেশনের প্রতি নজর দিন
তারকেশ্বর রেলপথে নালিকুল একটি ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাইরে টিকিট কাউন্টারের সামনে ফাঁকা জায়গায় কাঁচা সবজির পাইকারি বাজার বসে ভোররাত থেকে বেলা সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। ভিড়ে সবজি বাজার সবসময়ই গমগম করে। জলে কাদায় টিকিট কাউন্টারে আসাই বিপজ্জনক। এ সমস্যা সমাধানের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। দ্বিতীয় আবেদন এই স্টেশনে ৭০ শতাংশ যাত্রী আসেন রেলের দক্ষিণ দিক থেকে। স্টেশনে আসার যে পথ, ডবল লাইন হওয়ার ফলে এই বর্ষায় তা দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পথ দিয়েই স্কুলের ছাত্রছাত্রী, হাসপাতালের রোগিরাও যাতায়াত করেন। লাইন টপকে টপকে ১ নং প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাটতে যেতে হয়। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, রেলের দক্ষিণ দিক থেকে ১ নং প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত সাব-ওয়ে নির্মাণের ব্যবস্থা করলে রেলযাত্রীরা উপকৃত হবেন।
নিকাশির উন্নতি চাই
বেলুড় বিধানপল্লী এবং বেলুড় রেল স্টেশনের মধ্যে অবস্থিত বিশাল জলাশয়টি মজে গেছে। আগাছায় ভরে গিয়ে জলধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে অল্প বৃষ্টিতেই বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাশ্বর্স্থ অঞ্চল এবং বিধানপল্লীর ৪৩ নম্বর রাস্তার পাশের নালা উপচে রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। রেল এবং বালি পৌরসভার কাছে আবেদন, বর্ষা শুরুর আগে জলাশয়টি সংস্কার করে এবং নালা পরিষ্কার করে নিকাশী ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা হোক। অন্যথায় বেলুড় মঠের ঐতিহ্য নষ্ট হবে।
সেতু মেরামত চাই
হাওড়ার আমতা থেকে সেহাগড়ি পিচ রাস্তার মাঝে আছে দুটি কংক্রিটের ছোট সেতু। একটি খোড়প প্রেমবিহারের কাছে এবং অন্যটি খোড়প শিবতলার কাছে। সেতু দুটি উদয়নারায়ণপুর,জয়পুরের সঙ্গে আমতার যোগাযোগ রক্ষা করে। দুটি সেতুরই এত জীর্ণ অবস্থা যে কোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে। সেতু দুটি অবিলম্বে মেরামত করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।


পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ চাই
হাওড়া জেলার আমতা থানার ঘোষপুর মৌজায় প্রায় ৬০০ বিঘা জমিতে ডিজেল চালিত পাম্প সেটের মাধ্যমে জলসেচ দিয়ে বোরো চাষ হয়। কৃষি-নির্ভর এই চাষের উপর ভাণ্ডারগাছা এবং চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ কৃষক জীবিকা নির্বাহ করে। এই জলসেচ ব্যবস্থ্যায় কৃষকদের ব্যায়ভারে মুলধনটুকুও হারাতে হয়। ডিজেলের পরিবর্তে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করার জন্যে স্থানীয় বিধায়ক নির্মল মাজির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
বাড়ুক তবে বাস-ট্রেকার
হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের ‘বেলমুড়ি’ একটি ঐতিহ্যবাহী স্টেশন। ধনেখালির তাঁত শিল্পের উন্নতি সাধনের জন্য বেশ কয়েক বছর আগে বেলমুড়ি ও শিবাইচন্ডী স্টেশনের মাঝে হাতিগলা পুলের কাছে ধনিয়াখালি হল্ট স্টেশনও নির্মিত হয়েছে। এই দুটি স্টেশন থেকে প্রতিদিন হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। যাত্রী-সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রেল পরিষেবার উন্নতি হলেও বাস ও ট্রেকার পরিষেবা সেই মান্ধাতা আমলেই রয়ে গেছে। খুব ভোরে এবং সন্ধে সাড়ে সাতটার পর আর ট্রেকার বা বাস পাওয়া যায় না। অবিলম্বে বাস ও ট্রেকারের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
ঝোলা ডাল কাটা হোক
হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর থেকে হুগলি জেলার পুরশুড়া থানা মোড় পর্যন্ত পাকা সড়কে বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করে। বাস সংখ্যা কম থাকায় বাসের যাত্রীসংখ্যা বেশি হয়। তাই বাসযাত্রীরা বাসের ছাদে বসে যাতায়াত করেন। ওই রাস্তার ধারে বাঁশগাছ, নারকেলগাছের পাতা-সহ বিভিন্ন গাছের ডালপালা ঝুলে পড়ে বাসের ছাদে। ঝুলে পড়া ডালপালায় যাত্রীদের মাথায় ঝাপটা লাগে। অনেক সময় মাথা হেঁট করেও দুর্ঘটনা ঘটে। তাই স্থানীয় পঞ্চায়েত-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, অবিলম্বে ঝুলে পড়া ডালাপালা কাটা হোক।
বাঁধ সংস্কার প্রয়োজন
উদয়নারায়ণপুরের জয়নগর থেকে আমতা ব্লকের বালিচক পর্যন্ত দামোদরের পূর্বদিকে দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। ব্রিটিশ আমলের এই বাঁধটি দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ার ফলে ছোট-বড় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এই বাঁধ দিয়ে চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের জন্য সেচ দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.