আজ শুরু মূল পর্বের খেলা
বাংলায় উদ্যমই চোখে পড়ছে না গোপীচন্দের
পযুক্ত কোর্ট, ঠিক প্রশিক্ষণ এবং উদ্যমী খেলোয়াড়— এই তিন ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকার সুবাদেই বাংলার তুলনায় দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে ভাল ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় উঠে আসছে বলে জানালেন জাতীয় দলের কোচ পুল্লেলা গোপীচন্দ। বুধবার দুর্গাপুরে জাতীয় সাব-জুনিয়র র্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে আসেন তিনি। পাশে ছিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “বিগত দিনে এ দিকে নজর না দেওয়া এবং স্কুল স্তর থেকে খেলোয়াড় তোলার কোনও প্রক্রিয়া না থাকায় এই শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এখন তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।”
দুর্গাপুরের সিধো-কানহু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব ১৩ ও অনূর্ধ্ব ১৫ পর্যায়ের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে ‘অল ইন্ডিয়া সাব-জুনিয়র র্যাঙ্কিং ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট’ শুরু হয়েছে। যোগ দিতে চেয়ে সারা দেশ থেকে হাজার খানেক এন্ট্রি জমা পড়েছিল। প্রতিযোগীর সংখ্যা প্রায় ছ’শো। ২২ থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত কোয়ালিফায়িং রাউন্ডের খেলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত পর্বের খেলা। ফাইনাল ২৮ জুলাই।
সিধো-কানহু স্টেডিয়ামে বুধবার চলছে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা। ছবি: বিশ্বনাথ মশান।
বুধবার বিকেলে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন গোপীচন্দ। তিনি জানান, বিগত দু’তিন বছরে ব্যাডমিন্টনের প্রতি আগ্রহ অনেক বেড়েছে, যা আশাব্যঞ্জক। সাইনা নেহওয়ালের র্যাঙ্কিং আরও উন্নত করার সুযোগ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গোপীচন্দের কথায়, “ওর বয়স সবে ২২-২৩ বছর। সামনেই ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে। আশা করি সে সুযোগ কাজে লাগাবে সাইনা।” তাঁর দশ বছরের মেয়ে গায়ত্রীও বছর দুয়েক আগে থেকে ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেছে। তবে অধিকাংশ সময়েই বাইরে ঘোরায় মেয়েকে সময় দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।
দক্ষিণ ভারত থেকে পরপর ভাল খেলোয়াড় উঠে আসার রহস্য কী? বাংলা থেকে তেমন খেলোয়াড় না ওঠারই বা কী কারণ? গোপীচন্দ বলেন, “ভাল পরিকাঠামো, উন্নত কোচিং ও খেলোয়াড়দের উদ্যম এগুলিই দক্ষিণের সাফল্যের রসায়ন। আর তা নেই বলেই পিছিয়ে রয়েছে বাংলা।”
পরিকাঠামোর হাল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দুর্গাপুরের এই প্রতিযোগিতাতেও। যে এই রাজ্যে নেই তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ঘোরাফেরা করছে সিধো কানহু স্টেডিয়ামের চত্বর জুড়ে। সারা দেশ থেকে প্লেয়াররা এসেছে। সঙ্গে অভিভাবক হিসেবে এসেছেন বাবা-মা। তাঁরা জানান, পাঁচটি কোর্টে খেলা শুরু হচ্ছে বিকেল থেকে। কিন্তু কোয়ালিফাইং রাউন্ডে সব ম্যাচ শেষ হতে রাত পেরিয়ে প্রায় ভোর হয়ে যাচ্ছে।
অনুরাগীদের আব্দার মেটাচ্ছেন পুল্লেলা গোপীচন্দ। ছবি: বিকাশ মশান।
অনেক অভিভাবকের ক্ষোভ, জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলতে এসে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে তাঁরা ভাবতে পারেননি। অপেক্ষা করতে করতে ছেলে-মেয়েরা ঘুমিয়ে পড়ছে। গভীর রাতে তাদের ডেকে ম্যাচ খেলাতে হচ্ছে। রাতে ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরাও বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। টানা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ম্যাচ খেলাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররাও।
রাজ্য ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা জানান, এত বেশি সংখ্যাক প্রতিযোগী কোয়ালিফাইং রাউন্ডে যোগ দিতে চাইবেন, প্রাথমিক ভাবে তা তাঁরা আশা করেননি। তাই কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে প্রতিযোগিতা এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.