জার্মান প্রাচীরে আটকে গেলেন মেসি
নিজস্ব প্রতিবেদন
বায়ার্ন ২
বার্সেলোনা ০ |
পুরনো ছাত্রদের সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলেন পেপ গুয়ার্দিওলা। নিজের নতুন টিমের কোচ হিসাবে। বার্সেলোনা-বায়ার্ন প্রীতি ম্যাচে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন জার্মান ক্লাব মেসিদের ২-০ হারাল। বুধবার রাতে মিউনিখের আলিয়াঞ্জ এরিনায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দ্বিপার্বিক সেমিফাইনালে বায়ার্নের কাছে সাত গোল খাওয়ার শোধ তোলাও হল না মেসির বার্সার।
ম্যাচের প্রথম গোল বার্সা খেল মেসি মাঠে থাকার সময়েই। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি সমেত এগারো জনকেই পাল্টে ফেলে নতুন একাদশ নামিয়েছিল বার্সেলোনা এই নিছক ওয়ার্ম আপ লড়াইয়ে। বাইশ জনেও নেইমারের থাকার প্রশ্ন ছিল না। |
বুধবার মিউনিখে। ছবি: রয়টার্স। |
বার্সার নতুন ব্রাজিলীয় মহাতারকা এখনও নতুন টিমে পৌঁছতে না পারায় মেসি-নেইমার যুগলবন্দি দেখার প্রশ্নও ছিল না জার্মানির মাটিতে। তার উপর এলএম টেন বিরতিতে বসে যাওয়ায় শেষ পঁয়তাল্লিশ মিনিট বার্সা-বায়ার্ন লড়াইও যেন ডেভিড বনাম গোলিয়াথে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু তাতেও দুই সুপার হেভিওয়েটের মধ্যে সিরিয়াসনেসের অভাব ছিল না। ভয়ঙ্কর রিবেরিকে আটকাতে জাভি-ইনিয়েস্তা বিহীন বার্সার দু’জন মাসচেরানো ও বারত্রা হলুদ কার্ড দেখেন। আদ্রিয়ানোকে দু’বার গোললাইন সেভ করতে হয় মুলার আর রবেনের থেকে। গুয়ার্দিওলা কোনও ঝুঁকি না নিয়ে তাঁর নতুন ক্লাবের প্রথম ম্যাচে পুরো শক্তি নামিয়ে দিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রথম মিনিটেই মেসি বায়ার্ন গোলে শট নিয়ে নয়্যারকে কঠিন পরীক্ষা ফেলেন। কিন্তু ১৪ মিনিটে রিবেরির ক্রসে লামের গোলের পর মেসিরা নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন। শুধু স্পেনের তরুণ তারকা তেলো খানিকটা চোখে পড়েন বায়ার্ন গোলে কয়েকটা ভাল শট নিয়ে। তার মধ্যেই ৮৫ মিনিটে মান্ডজুকিচ ২-০ করে গুয়ার্দিওলার টেনশন পুরো দূর করেন। |
|