সম্পাদক সমীপেষু...
মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়
মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে গিয়ে আপনারা একটি ভুল করেছেন। (মিলাডা, কলকাতার কড়চা, ১-৭) ১৯৫৪ সালের ১ এপ্রিল সতীকান্ত গুহ ও তাঁর স্ত্রী প্রীতিলতা গুহের যৌথ উদ্যোগে সাউথ পয়েন্ট স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন সাউথ পয়েন্টের সঙ্গে মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্কই ছিল না। প্রায় এক বছর পরে সতীকান্ত গুহ তাঁর শৈশবের বন্ধু মোহনলালের স্ত্রী মিলাডাকে শুধুমাত্র নার্সারি ও প্রেপ বিভাগ দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। মিলাডা কোনও দিনই সাউথ পয়েন্টের কোনও বিভাগেরই অধ্যক্ষা ছিলেন না।
মোহনলাল এবং মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুত্র মিতেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ওই কড়চাটি লেখা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে মিতেন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় আরও কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেটি হল “সাউথ পয়েন্ট স্কুলে আমার মা মিলাডা ১৯৫৫ সালেই যোগদান করেন। মা’র মুখেই শুনেছি, তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠার দিন থেকেই সেখানকার শিশু বিভাগে শিক্ষকতার কাজ করেছেন। তিনি স্কুলটিকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসতেন, প্রতিদানে সেখানকার প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের ভালবাসা পেয়েছেন। স্কুলটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করার জন্য তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বসে নিয়মিত ‘লেস্ন-প্ল্যান’ বানাতেন, ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ প্রদানের জন্য প্রচুর চিন্তা ও পরিশ্রম দিয়ে অনেক সচিত্র চার্ট বানাতেন, মডেল ও পাপেট সংগ্রহ করতেন, টাটকা ফলমূল ও শাকসব্জি এনে বাচ্চাদের দেখাতেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ পরে তাঁকে নার্সারি ও প্রেপ বিভাগের অধ্যক্ষা (ডাইরেকট্রেস) পদে উন্নিত করেছিলেন। ১৯৭৫-এ তিনি বার্ধক্যের কারণে অধ্যক্ষা রূপে স্বেচ্ছাবসর নেন।”

সাউথ পয়েন্ট স্কুলে ছাত্র ছিলাম ১৯৫৯ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত। ১ এপ্রিল স্কুলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রত্যেক বছর একটি সাংস্কৃতিক ও শিল্পকলার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হত। যার দায়িত্বে থাকতেন মিলাডা গঙ্গোপাধ্যায় এবং কমলকুমার মজুমদার। যখন ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, মিলাডা আন্টি স্কুলের প্রতিষ্ঠা-দিনে নিজের হাতে তৈরি আইসক্রিম সবাইকে পরিবেশন করতেন। আজও সেই স্মৃতি অমলিন।
মংপুর রবীন্দ্রভবন
গত ১১ এপ্রিল দার্জিলিং থেকে মংপু যাই। ঘণ্টা দুয়েকের পথশোভা দর্শন শেষে (রাস্তার অবস্থা যথেষ্ট ভাল) পৌঁছনোর পর পরিবেশ ও স্থান-মাহাত্ম্যে মন ভরে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ প্রথম বার মংপু আসেন পালকিবাহিত হয়ে। সেই বাহক দলের এক জনের নাতি বর্তমানে একমাত্র কেয়ারটেকার কাম গাইড। তিনি সুন্দর ভাবে অতীতের কথা বললেন।
কিন্তু কতকগুলি কারণে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। সঞ্জীব রাহার (‘মংপু রবীন্দ্রভবনের সংস্কার জরুরি’, সম্পাদক সমীপেষু, ১০-৬) উপলব্ধি, বিশেষত রক্ষণাবেক্ষণ প্রসঙ্গে তাঁর বিরক্তি ও ক্ষোভের সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ সহমত। বহিরঙ্গে বোঝা না গেলেও ভবনের অভ্যন্তরের ভগ্নদশা খুবই ব্যথিত করে। গাইডের বিবরণে জানলাম একজন সুদেহী ব্রিটিশ নাগরিকের দেহভারে একটি ঘরের মেঝের কাঠের পাটাতন ভেঙে ভদ্রলোকের পাতালপ্রবেশের কথা। তৎসহ ওঁর বামহস্তের অস্থিভঙ্গ। এর ফলে কর্তৃপক্ষকে ব্রিটিশ দূতাবাসের কড়া বার্তা হজম করতে হয়। লজ্জার এখানেই শেষ নয়। ‘মন্তব্য পুস্তিকা’র তারিখ অনুযায়ী দশ দিনের মধ্যে সম্ভবত আমরাই দুই ‘মংপু’ দর্শনার্থী।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.