‘সৃজনী’র আত্মপ্রকাশ ২০০৯-এ। চতুর্থ বর্ষ অর্থাত্ ২০১৩-তে সৃজনীর নাম হয় সৃজনীধারা। চতুর্থ বর্ষের প্রথম সংখ্যাউত্তরবঙ্গের মুসলিম সমাজ ও সংস্কৃতি। প্রায় দু’শো পাতার এই বিশেষ সংখ্যায় স্থান পেয়েছে ২৮ জন লেখকের রচনা। লেখক তালিকায় আছেন মীরাতুন নাহার, আনন্দগোপাল ঘোষ, মানস দাশগুপ্ত, সুখবিলাস বর্মা, সুস্মিতা সোম-সহ অনেকে। এই বিশেষ সংখ্যায় রয়েছে ডঃ নজরুল ইসলামের একটি সাক্ষাত্কার। মুসলিম সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষা, ধর্মভাবনা, লোকাচার, বিয়ের গান এ রকম নানা বিষয় উঠে এসেছে পত্রিকার পাতায়। উত্তরবঙ্গের মুসলিম সমাজ ও সংস্কৃতি আলোচ্য হলেও সম্পাদক পার্থপ্রতিম মল্লিক জানান, ‘প্রকৃত অর্থে উত্তরবঙ্গের মানুষের কথাই বলতে চেয়েছি। একে হিন্দু বা মুসলমানের গণ্ডিতে আটকে ফেলবেন না।’ সে গণ্ডি পাঠক নিশ্চয়ই অতিক্রম করবেন। |
শুরুতে কর্মস্থল ছিল কলকাতার আলিপুরের টাঁকশালের জাদুঘর। দার্জিলিং হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের জাদুঘরে কিউরেটর হিসেবে যোগ দেন ১৯৯২-এ। আজকের জাদুঘরের যে চেহারা তখন এইচ এম আইয়ের জাদুঘরটি আদৌ সে রকম ছিল না বলে জানালেন চন্দ্রনাথ দাস। না ছিল আলোর সুনির্দিষ্ট ব্যবহার, পৃথক প্রদর্শনী কক্ষ বা বিভাগ বা দ্রষ্টব্যটির তথ্যায়ন। আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে আজকের এই নব রূপদানের পিছনে রয়েছে তাঁর প্রশিক্ষিত মনন। দ্রষ্টব্য সামগ্রীর সঙ্গে সাধারণের সংযোগ স্থাপনের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। কখনও ভূগোল, লখনউ, ইতালি বা ইংল্যান্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান করার ফাঁকে ফাঁকে নথিপত্র ও তৈলচিত্র সংরক্ষণ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো বিষয়কে সামনে রেখে তুলে ধরেছেন তাঁর সুচিন্তিত মত। সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমন্ত্রিত চন্দ্রনাথ পাঠ করেন এসেছেন তাঁর গবেষণামূলক প্রবন্ধ ‘প্রিজার্ভেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন অব কালচারাল হেরিটেজ অব ইস্টার্ন হিমালয়া’। স্লাইডে তুলে ধরেছেন দার্জিলিং ও সিকিমের মনাস্ট্রিতে শোভিত মহামূল্যবান ফ্রেস্কো চিত্র, তাংখা এবং মিউজিয়ামের সংগৃহীত সামগ্রী সংরক্ষণে কী কী পদক্ষেপ করা জরুরি। |