বিধায়ক কিন্তু তিনি এলাকার ভোটার নন। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা সাগরদিঘির বিধায়ক হলেও তিনি আদতে বহরমপুরের ভোটার। নির্বাচন কমিশনের বেধে দেওয়া বিধি মোতাবেক ভোটার না হওয়ার দরুন তিনি তাঁর বিধানসভাকেন্দ্রে ঘোরাঘুরি করতে পারবেন না। কিন্তু চতুর্থ দফা পঞ্চায়েত ভোটে সকালবেলা ঘণ্টাখানেক সাগরদিঘিতে দাপিয়ে বেড়ালেন তিনি। বুথে না ঢুকলেও গ্রামে গ্রামে ঘুরে তিনি লোকজনের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে ছিল একগাড়ি ভর্তি পুলিশ। এলাকা ঘোরা শেষ হওয়ার পর এগারোটা নাগাদ বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। |
সাগরদিঘিতে মন্ত্রী সুব্রত সাহা।—নিজস্ব চিত্র। |
মন্ত্রীর এলাকায় চক্কর কাটা নিয়ে আপত্তি তুলেছে বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য জ্যোতিরুপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুব্রতবাবু বুথে না ঢুকলেও সাঙ্গোপাঙ্গদের নিয়ে ঘণ্টা তিনেক ধরে সাগরদিঘি চষে বেড়ালেন। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল। টেলিফোনে ব্লক নির্বাচনী পর্যবেক্ষককে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও ফল পেলাম না।” সাগরদিঘি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নিরঞ্জন সিংহের বক্তব্য, “মন্ত্রী এলাকায় ঘোরার পাশাপাশি ভোটারদের মধ্যে নানা জিনিসপত্র বন্টনও করেন। প্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়েও কোনও কাজ হল না।” সাগরদিঘি পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল প্রার্থী বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা রাজেশ ভকতের অভিযোগ, “বহরমপুরের ভোটার হওয়া সত্ত্বেও সাগরদিঘিতে মন্ত্রীর প্রবেশ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছে। কিন্তু কিছু হল কই?” বিরোধীদের তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রীর সাফাই, “সাগরদিঘিতে গিয়েছিলাম বিশেষ কাজে। কাজ সেরে ১০ নাগাদ ফিরে এসে বহরমপুরের নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে বসেছি। আমি কোনও নির্বাচনী বিধি ভাঙিনি। এ নিয়ে কমিশন যা তদন্ত করার করবে।” সাগরদিঘির নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দেবাশিস ঘোষের দাবি, “সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে অবশ্যই তা খতিয়ে দেখা হবে।” |