টুকরো খবর
জখম প্রৌঢ় পড়ে প্ল্যাটফর্মে, পুলিশ আসতে এক ঘণ্টা

রক্তাক্ত অবস্থায় প্ল্যাটফর্মে পড়ে রয়েছেন এক প্রৌঢ়। কিন্তু পুলিশ কিংবা যাত্রীদের কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। প্রায় এক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সোমবার বিকেলে, পূর্ব রেলের হাওড়া শাখার বেলুড় স্টেশনের ঘটনা। পুলিশ জানায়, বেলুড় স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পড়ে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অশোক ঠাকুর নামে ওই প্রৌঢ়। তাঁর থুতনি ফেটে গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছিল। কিন্তু যাত্রী বা রেল পুলিশের সে দিকে কোনও নজর ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, কোনও ভাবে ট্রেন থেকে পড়ে কিংবা ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে থুতনিতে আঘাত পান অশোকবাবু।
অসহায়

বেলুড় স্টেশনে বহু ক্ষণ পড়ে রইলেন জখম প্রৌঢ়। উদ্ধার করল পুলিশ।
দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ার পরে অবশ্য বেলুড় জিআরপি-র পুলিশ এসে তাঁকে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু যাত্রীদের একাংশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, রবিবার ওই বেলুড় স্টেশনেই দ্রুত গতিতে ছুটে চলা ট্রেনের জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেওয়া তরুণীকে তত্‌ক্ষণাত্‌ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে বাঁচিয়ে ছিলেন যাত্রী ও পুলিশ। সেখানে ওই প্রৌঢ়ের কেন এমন অবস্থা হবে? রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, “খবর পেয়েই পুলিশ ওই প্রৌঢ়কে উদ্ধার করেছে। তবে তখন প্ল্যাটফর্মে কোনও টহলদারি পুলিশকর্মী ছিলেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

ছিনতাইয়ে বাধা, ভোজালির কোপ

ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক যুবকের মাথা ফাটল দুষ্কৃতীদের ভোজালির কোপে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগর স্টেশন রোডের মধ্যাঞ্চলে। মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে শেখ মিরাজ নামে ওই ব্যবসায়ী যুবকের। চন্দননগরের ওসি বর্ণালী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” চন্দননগরের
মিরাজ।
—নিজস্ব চিত্র।
খানসামাপাড়ায় থাকেন পেশায় রাজমিস্ত্রি মিরাজ। রবিবার রাতে ফিরছিলেন কলকাতা থেকে। পুলিশ জানায়, মধ্যাঞ্চলের কাছে দুই সশস্ত্র যুবক তাঁর পথ আটকায়। গলায় সোনার চেন ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। মিরাজ নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। প্রাথমিক ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন দুষ্কৃতীদের। ঘুষি চালিয়ে দেন এক জনকে লক্ষ্য করে। তার হাত থেকে ছিটকে পড়ে আগ্নেয়াস্ত্র। একটু দূরে ছিল আরও এক দুষ্কৃতী। সে এগিয়ে আসে। দুষ্কৃতীরা ভোজালির কোপ মারে মিরাজের মাথায়। তাঁর চিত্‌কারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তার আগেই মিরাজের প্যান্টের পকেটে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে পালায় ছিনতাইবাজরা। জখম যুবকের কথায়, “ভোজালি দিয়ে বেশ কয়েক বার কোপ মেরেছে মাথায়। আমি জ্ঞান হারাই।” উর্দিবাজারের তৃণমূল নেতা মহম্মদ আনোয়ারের অভিযোগ, “কিছু দিন ধরেই বহিরাগত কিছু যুবক এলাকায় ঢুকে অসামাজিক কাজ করে পালাচ্ছে।”

ঝোপ থেকে মিলল দুই যুবকের দেহ

দু’টি পৃথক জায়গা থেকে সোমবার একই এলাকার বাসিন্দা দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, দু’জনকেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। নিহতদের নাম লব পাণ্ডে (২২) এবং সন্তোষ দুবে (২৫)। দু’জনের বাড়ি শ্রীরামপুরের এসকে নগর ও প্রভাস নগরে। লবের দেহ মেলে সাহাগঞ্জের ডানলপ ঘাটের কাছে একটি ঝোপে। সন্তোষের দেহ উদ্ধার হয় পোলবার পাঁচলকি গ্রামে একটি খেলার মাঠের পাশে ঝোপ থেকে। পুলিশ জানায়, একই কায়দায় খুন করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে লব এবং সন্তোষ হুগলি স্টেশনে যান। তাঁদের সঙ্গে আরও এক যুবক ছিলেন। তাঁকে জেরা করছে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, কী ভাবে লব এবং সন্তোষের দেহ পৃথক জায়গায় গেল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, নিহতদের নামে পুলিশের খাতায় কোনও অভিযোগ না থাকলেও এলাকায় তাদের বিশেষ সুনাম ছিল না। আততায়ীরা একই দলের দুষ্কৃতী বলে অনুমান পুলিশের।

চোলাইয়ের ঠেকে আগুন মহিলাদের

চোলাই উচ্ছেদে রাস্তায় নামলেন হরিপালের মহিলারা। সোমবার সন্ধ্যায় একের পর এক চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর চালায় প্রমিলা বাহিনী। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ঠেক। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে চোলাই খেয়ে খামারচণ্ডী এলাকার কয়েক জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর জেরেই মহিলারা খেপে ওঠেন। এ দিন বিকেলে শতাধিক মহিলা লাঠিসোটা হাতে ওই ঠেকগুলিতে হানা দেন। হরিপাল স্টেশন-লাগোয়া মাছের আড়তের পিছনেই রমরমিয়ে চলত ওই সমস্ত চোলাইয়ের ঠেক। স্টেশন চত্বরে সর্বদা প্রচুর মানুষের ভিড় লেগে থাকে। ওই এলাকা থেকে বিভিন্ন রুটের বাস-ট্রেকার ছাড়ে। রেললাইনের উল্টো দিকেই হরিপাল বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ঠেকগুলির জন্য সেখানকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছিল। কাছেই হরিপাল থানা। অথচ পুলিশ থাকে চোখ বুজে। পুলিশের একাংশের মদতেই ঠেকগুলি রমরমিয়ে চলত বলে অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য সে কথা মানেনি।

মহিলা কাউন্সিলরের অপমৃত্যু চাঁপদানিতে

হুগলির চাঁপদানি পুরসভার এক মহিলা তৃণমূল কাউন্সিলরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাঁর বাড়ি থেকেই। মৃতার নাম সোমা ভৌমিক (৩৫)। তিনি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁপদানির সোনারগাঁ পল্লি এলাকায় তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় দেহ। কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সোমাদেবী। নানা কারণে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন। এ দিন পুরসভায় যাননি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অবসাদেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সোমাদেবী। দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু

একটি দোতলা বাড়ির একতলার ঘরে আগুন লেগে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সোমবার, বালির পূর্ব আনন্দনগরে। মৃতের নাম সৌমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস (৪৫)। তিনি হাওড়া পুরসভার টেলিফোন অপারেটর পদে চাকরি করতেন। পুলিশ জানায়, এ দিন প্রতিবেশীরা ওই ঘর থেকে ধোঁয়া দেখে দমকলে খবর দেন। দমকলের ২টি ইঞ্জিন এসে দরজা ভেঙে ঢোকে। বিছানা থেকে সৌমেন্দ্রনাথবাবুর দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের অনুমান, সিগারেট খাওয়ার সময়ে কোনও ভাবে আগুন লেগে এই ঘটনা ঘটে।

বজ্রপাতে মৃত্যু ৩ জনের
বিচ্ছিন্ন তিনটি ঘটনায় বজ্রাঘাতে ৩ জনের মৃত্যু হল। রবিবার গোঘাটের দামোদরপুরে মারা যান সুনীল কুড়েল (৩৭) নামে এক শ্রমিক। পাট কাটছিলেন তিনি। সোমবার আরামবাগের ধরমপোতায় বজ্রাঘাতে মারা যান শ্যামলকুমার পাল (৫২) নামে এক ট্র্যাক্টর চালক। একই সময়ে কাঁটাবনী গ্রামে চাষের কাজ করার সময়ে বজ্রাঘাতে মৃত্য হয় আবু বক্কারের (৩৬)। দেহগুলি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.