তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘লিঙ্গসূত্র’ (রবিবাসরীয় ১৬-৬) প্রসঙ্গে আমার মনে হয়, পশুর ক্ষেত্রে যৌন আচরণ সব সময়ই প্রাকৃতিক। কিছু দিন আগেই সমকামী কুকুর সম্পর্কে একটি খবর চোখে পড়ে। তবে লেখিকার উক্তি, ‘সব কামই, সব যৌন আচরণই যত কম সংখ্যক লোকই সে আচরণ করুক না কেন— প্রাকৃতিক’। এটি একটি বিতর্কিত বিষয়। মানুষের বুদ্ধি, মূল্যবোধ ও বিবেক তার যৌনতাকে চালিত করে বলেই পরস্পরকে গোপন করে স্বামী-স্ত্রীর বহুগামিতা সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু মানুষ পশুর সঙ্গেও যৌন অভ্যাস গড়ে তোলেন। ধর্মকাম ও হত্যাকাম তো সামাজিক অপরাধ। যৌন ক্ষুধা নিবৃত্তির হাতিয়ার হিসাবে অসহায় শিশুকে নির্বাচন বিকৃতকামের পর্যায়ে পড়ে। এটা প্রাকৃতিক বা স্বাভাবিক নয়। যৌনতার সঙ্গে বিবেকের কোথাও সংযোগ থাকা প্রয়োজন।
সমকামীদের মধ্যে অনেকেই শারীরিক বা মানসিক ভাবে সমকামী। আবার অনেকে নিজের পছন্দে সমকামী। যেমন একটি ছোট্ট ছেলে কোনও ছেলে বন্ধুর বাড়িতে থাকতে গিয়ে এক বার তার সঙ্গে যৌন অভ্যাস গড়ে তুললে তা সারা জীবনে বদলানো কঠিন। এ ছাড়া মা কিংবা বাবার অতি শাসনে অতিষ্ট হয়ে কোনও ছেলে বা মেয়ে সমলিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে পারে।
সমকামী পুরুষেরা অনেক ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করে বিষমকামী মহিলাকে বিয়ে করছেন। এটা সামাজিক অপরাধ। একটি মেয়ের সম্বন্ধ করেই বিয়ে হয়। তাঁর সঙ্গে স্বামীর যৌন সম্পর্ক গড়ার কোনও আগ্রহ দেখা যায় না এবং অচিরেই তিনি আবিষ্কার করেন যে, তাঁর পতিদেবতা এক জন সমকামী। বিয়েটা ভাঙে এবং তিনি শ্বশুরবাড়ির পাড়ার ক্লাবে বিষয়টি জানান।
আর একটি ক্ষেত্রে তিন সন্তানের জননী এক বিদেশিনি খবর নিয়ে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী নিয়মিত ‘গে বার’-এ যান। উভকামিতার কারণে বিয়ে ভাঙে।
তৃতীয় দৃষ্টান্ত হল, একটি ভালবাসার বিয়ের অপমৃত্যু। ভদ্রমহিলা নতুন বিয়ের পর স্বামীর যৌন আচরণে অস্বাভাবিকতা ও অনাগ্রহ দেখে বহু মনোবিদ ও ডাক্তারের সাহায্য নেন। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই ধরা পড়ে, তাঁর স্বামীর এক ব্যক্তিগত পুরুষবন্ধু আছে যার নাম বলেছেন স্ত্রীকে এবং স্ত্রী বাপের বাড়ি গেলে তার সঙ্গে থাকতেও গেছেন, কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে তার আলাপ করিয়ে দেননি।
মিতিল চক্রবর্তী। বিজয়গড়, কলকাতা-৩২
|
হাওড়া স্টেশনের কাছে হাওড়াগামী বাস স্ট্যান্ডে ঢোকার মুখে রাস্তা দীর্ঘ দিন ভেঙেচুরে একাকার। পথচারী, যাত্রীদের প্রচণ্ড অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে যানবাহনের চাকার জল ছিটকে জামাকাপড় নোংরা করে দেওয়ার ঘটনাও বিরল নয়। এই বাস স্ট্যান্ড থেকে আমতা, উদয়নারায়ণপুর, জগৎবল্লভপুর, শিবপুর, নারিট, ঝিখিরা, সালকিয়া, শালিমার, কোনা, বালি, বাগনান, গাদিয়াড়া ইত্যাদি বহু এলাকার বাস যাতায়াত করে। খানাখন্দে ভরা বিপজ্জনক বাস স্ট্যান্ড চত্বর মেরামত করা প্রয়োজন।
শ্যামল মান্না। বীরশিবপুর, হাওড়া
|
বিদ্যুৎ: গ্রামবাসীদের বাধা |
‘তার খুঁটি পড়লেও আজও পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ, ক্ষোভের মুখে প্রার্থীরা’ (১২-৭) শীর্ষক সংবাদটির পরিপ্রেক্ষিতে জানাই, কাটোয়া-১ নম্বর ব্লকের গাঁফুলিয়া গ্রামে ২টি ১০ কে ভি এ ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। ২১ এপ্রিল ২০১৩ একটি চালু করা হয় এবং ৩৭টি বি পি এল পরিবারকে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বিতীয় ১০ কে ভি এ ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মারটি চালু করা যায়নি। তার কারণ, গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, পুরো হাই টেনশন লাইন সমেত সাব স্টেশনটি অন্যত্র সরাতে হবে।
বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়। অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার, কর্পোরেট কমিউনিকেশনস, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড |