জন্ডিসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন মানবাজারের পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দারা। এক সপ্তাহ আগে এই পাড়ার কয়েকজন জন্ডিসে অসুস্থ হন। বাসিন্দাদের দাবি, জন্ডিসে অসুস্থদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। অথচ স্বাস্থ্য দফতরের এ ব্যাপারে কোনও তৎপরতা নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, মানবাজারের কিছু এলাকায় জন্ডিসের খবর পেয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দা রাজা দত্ত, উত্তম সেন বলেন, “কী ভাবে জন্ডিস ছড়াচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না। তবে পাড়ার অনেক বাড়িতেই দেখছি জন্ডিসে লোকজন অসুস্থ হচ্ছেন।” কয়েক মাস আগে মানবাজারের রজকপাড়া ও নামোপাড়ার প্রায় ৪০ জন বাসিন্দা জন্ডিসে অসুস্থ হয়েছিলেন। সেই ঘটনাকে সামনে এনে পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দারা অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের নজর টানতে চাইছেন। তা না হলে জন্ডিস আরও ছড়াতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। মানবাজারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ সিং হাঁসদা বলেন, “পোদ্দারপাড়ায় জন্ডিসে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানতাম না। ইতিপূর্বে রজকপাড়া ও নামোপাড়ায় যাঁরা দূষিত জল পান করেছিলেন, তাঁদের জন্ডিস হয়েছিল। চিকিৎসার পরে তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।” তিনি জানান, বাসিন্দারা আপাতত জল ফুটিয়ে খান। আজ সোমবার ওই এলাকায় চিকিৎসকদের দল যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
|
ডায়েরিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে কুলটির ১০ নম্বর ওয়ার্ডে, রানিসায়ের এলাকায়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত জনা দশেক। দু’জন একটি নার্সিংহোমে ভর্তি। কুলটি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ স্বাস্থ্য কর্মী এলাকায় গিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসা করেছেন। পুরসভার তরফে এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে জানা যায়। চিকিৎসকদের অনুমান, পানীয় জল থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। পুরপ্রধান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জানান, পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। |