টুকরো খবর
হস্টেলে নেশা, মৃত ছাত্র
চোখ ঢুলু ঢুলু। অর্ধচেতন অবস্থায় হস্টেলের মেঝেতে পড়ে বিড়বিড় করছিল সদ্য কৈশোরে পা রাখা অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্র। ডাকাডাকি করেও জবাব না পেয়ে সহপাঠীরা খবর দেয় হস্টেল সুপারকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। রবিবার বাঁকুড়ার গড় রাইপুর হাইস্কুলের হস্টেলের এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের নাম রানা কালিন্দী (১৫)। রাইপুর থানার সোনাগাড়া গ্রামে তার বাড়ি। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ডেনড্রাইটের নেশাতেই রানার এই পরিণতি। আরও দুই ছাত্র বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন। গড় রাইপুর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “হস্টেলের ছাত্ররা জানায়, ওই ছাত্রেরা ডেনড্রাইট নিয়ে নেশা করেছিল। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাই।” মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু অবশ্য বলেন, “এক ছাত্রকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক ভাবে অনুমান সে নেশা করেছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।” গোটা ঘটনায় হতভম্ব রানার বাবা রাধানাথ কালিন্দী। পেশায় বাঁশের কারিগর রাধানাথবাবু বলেন, “রানাকে পঞ্চম শ্রেণি থেকে স্কুলের হস্টেলে রেখে পড়াচ্ছিলাম। ছেলের নেশা করার কথা কখনও শুনিনি।” এই স্কুলের পড়াশোনার মান বরাবরই ভাল। কয়েক বছর আগে এই স্কুল থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে প্রথম হয়েছিল কুমুদ বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন ঘটনায় তাই অনেকেই বিস্মিত। রাইপুরের বিডিও কিংশুক মাইতি বলেন, “ওই স্কুলের হস্টেলে এ রকম নেশার চল কবে থেকে চলছে, তা প্রধানশিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। হস্টেলের আর কেউ নেশা করে থাকলে তাদের অবিলম্বে বার করে দিতে বলেছি।” প্রধান শিক্ষকেরও বক্তব্য, “কী করে ওই ছাত্রেরা নেশার কবলে পড়ল তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

ছাত্রীকে মারধরে অভিযুক্ত শিক্ষিকা
প্রধানশিক্ষিকার চড়ে জ্বরে পড়েছে ছাত্রী। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া দামোদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষিকার বিরুদ্ধে শনিবার থানায় এমনই অভিযোগ দায়ের করেছেন ছাত্রীটির পরিবার। তাঁদের দাবি, বিনা দোষে প্রধানশিক্ষিকা রমা মুখোপাধ্যায় ছাত্রীটিকে চড় মারেন। তারপর থেকেই সে জ্বরে পড়েছে। প্রধানশিক্ষিকার দাবি, “আমি ওই ছাত্রীকে মারিনি। ক্লাসে পড়া না পারায় শিক্ষক কয়েকজন ছাত্রীকে ক্লাসের বাইরে বের করে দেন। অন্য একটি ক্লাসরুমের সামনে তারা গোলমাল করছিল বলে আমি ওদের ধমক দিয়েছিলাম মাত্র।” তৃণমূল পরিচালিত ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক প্রভাত কুচলানেরও দাবি, “প্রধান শিক্ষিকা নির্দোষ। স্কুলে হস্টেল নির্মাণের কাজ চলছে। তৃণমূলের নাম করে কিছু লোক সে জন্য তোলা চাইতে এসেছিল। তোলা না পেয়ে তাঁরা ঘোঁট পাকিয়ে ওই মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে।

ডাক্তারি পরীক্ষা ‘ধর্ষিতা’ বধূর
মাঠ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা বরাবাজারের ওই বধূকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে দাবি করল পুলিশ। ওই বধূর মেডিক্যাল পরীক্ষায় এমনই তথ্য মিলেছে বলে রবিবার জানালেন জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর। তিনি বলেন, “ওই বধূ পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শনিবার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। তাতে ধর্ষণের সপক্ষে প্রমাণ মিলেছে।” বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাঠ থেকে ফেরার পথে লাগোয়া বরাবাজারের পাঁজনবেড়া গ্রামের বাসিন্দা অম্বাবতী সহিস নামে এক সিপিএম কর্মী ওই বধূকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে ওই বধূ তাকে চিনে ফেলায় অম্বাবতী তাঁর গলা টিপে ধরেন। ইট দিয়ে বধূটির মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ হয়েছে। বধূর স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মরে গিয়েছে ভেবে অম্বাবতী পালায়। তবে পুলিশ রবিবার পর্যন্ত অম্বাবতীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।”

পুলিশের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ক্ষোভ
পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রান করার অভিযোগ তুলল শাসকদল তৃণমূল। রবিবার এমনই অভিযোগে পাত্রসায়রে প্রতিবাদ মিছিল ও পথসভা করা হয়। দলের ব্লক সভাপতি স্নেহেশ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “রাজনৈতিক কারণে সিপিএমের দায়ের করা মিথ্যা অভিযোগের তদন্ত না করেই পুলিশ আমাদের দলের নিরীহ কর্মীদের গ্রেফতার করছে।” পুলিশ সুপার মুকেশকুমার অবশ্য দাবি করেছেন, “যাদের ধরা হচ্ছে, তাঁদের নামে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগেরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ট্রাক-অটোয় সংঘর্ষ, মৃত চালক
ট্রাক ও অটোর ধাক্কায় মৃত্যু হল অটোচালকের। আহত হলেন ৫ যাত্রী। রবিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কে, পুরুলিয়া মফস্সল থানার বোঙ্গাবাড়ির কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দিলীপ মাহাতো (২৮)। বাড়ি স্থানীয় দুমদুমি গ্রামে। এ দিন সকালে দিলীপবাবু অটোতে যাত্রী নিয়ে পুরুলিয়া শহরে আসছিলেন। সামনের দিক থেকে আসা ট্রাকটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা অটোচালক-সহ যাত্রীদের উদ্ধার করে পুরুলিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই মৃত্যু হয় দিলীপবাবুর।

শোকপালন
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে হত দলীয় সমর্থক অমল হালদারের স্মৃতিতে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রবিবার শোকপালন করল এসইউসি। বাঁকুড়া শহর-সহ জেলার বেশ কিছু ব্লকে শহিদবেদীতে মাল্যদান করা হয়। পুরুলিয়া শহরের হাটেরমোড় এলাকায় অস্থায়ী শহীদবেদী তৈরী করে মালা দিয়ে কালো ব্যাজ পরেন কর্মী-সমর্থকরা। দুই জেলার নেতৃত্বের দাবি, “মৃত অমল হালদারের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও দোষিদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

দেহ উদ্ধার
নিখোঁজ থাকা এক ব্যবসায়ীর দেহ মিলল ক্যানালে। রবিবার কোতুলপুরের ঘাটদিঘির এলাকা থেকে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। মৃতের নাম দিলীপ ভুঁই (৫০)। ওই গ্রামেই তাঁর বাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ধান ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তি বাড়িতে অশান্তির কারণে শনিবার রাতে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

শহিদ দিবস
একুশে জুলাইয়ের স্মরণে রবিবার পুরুলিয়ায় শহিদ দিবস পালন করল তৃণমূল কংগ্রেস। পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে এই অনুষ্ঠান হয়। পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.