সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার বেলা এগারোটা নাগাদ রেজিনগরের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর সংসদের প্রার্থী তারাবন বিবির স্বামী শাহজাহান শেখ বাইকে চেপে রেজিনগরের ঝিঁকড়ায় আসছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আতাউল শেখ নামে এক ব্যক্তি। পথে হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁদের লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোড়ে। গুলিতে মারাত্মক জখম হন আতাউল শেখ। গুলি লাগে সাজাহান শেখেরও। দু’জনকেই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের রেজিনগর লোকাল কমিটির সম্পাদক বদরুদ্দিন শেখ বলেন, “তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থীর স্বামীর উপর গুলি চালিয়েছে। এতে প্রার্থীর স্বামী ও তাঁর এক সঙ্গী জখম হয়েছেন।” একই অভিযোগের সুর সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের গলাতেও। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “সিপিএম ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ঘটনায় তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে। ওরা নিজেরাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “যতদূর শুনেছি গুলি নয়, বোমা ছোড়া হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে।” হাসপাতালে জখম স্বামীর বেডের পাশে বসে তারাবন বিবি বলেন, “আমাদের ভোটারদের ভয় দেখাতেই তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানাব।”
|
ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে পুলিশ শনিবার রাতে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত প্রেমানন্দ দাসের বাড়ি রানাঘাটের হবিবপুর পঞ্চায়েতের বেলেডাঙায়। তিনি রানাঘাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী। পুলিশ জানায়, বেলেডাঙা মোড়ের নিজের কাপড়ের দোকানে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বসে ভোটার স্লিপ প্রস্তুত করছিলেন প্রেমানন্দবাবু। অভিযোগ, সে সময়ে তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি বাধে। তার মাঝে পড়ে স্থানীয় দু’জন জখম হন। প্রেমানন্দবাবুর বিরুদ্ধে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “দু’দলের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। শাসকদলের অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সিপিএমের অভিযোগ, তাদের প্রার্থীকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছে শাসকদল। দলের হবিবপুর লোকাল কমিটির সম্পাদক অসিত প্রামাণিক বলেন, “আমাদের কর্মীরা মার খেল। আবার উল্টে পুলিশ আমাদের প্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক তাপস ঘোষ বলেন, “প্রেমানন্দের নেতৃত্বে সিপিএমের বাইক বাহিনী আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে।”
|
রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল এক যুবকের। রবিবার শান্তিপুরের মাঝেরপাড়ার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় সমীর মজুমদার (২৬) নামে ওই যুবকের দেহ। ঘটনার পর থেকে পলাতক তাঁর ভাই কমল। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই খুন। তদন্ত চলছে।” পুলিশ জানায়, কমল পুণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। দিন দশেক আগে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। দাদা সমীর মাঝে মধ্যেই মদ্যপ অবস্থায় রাতে বাড়ি ফিরে ঝামেলা বাধাতেন। বাবা-মাকে মারধরও করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাবা নলিনীবাবু বলেন, “বড় ছেলে মদ খেয়ে বাড়িতে ঝামেলা করত। দিন কয়েক আগে আমাদের মেরে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এই নিয়ে ছোট ছেলের সঙ্গে ওর গণ্ডগোল চলছিল।”
|
নদিয়ায় সম্পূর্ণ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হবে দশটি বুথ। ওই বুথগুলিতে পাঁচ জন ভোটকর্মীই মহিলা। কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের ওই মহিলা পরিচালিত বুথগুলি হল অরবিন্দনগর সৌরেন্দ্রনাথ মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের দুটি বুথ, শিমুলতলা বিবেকানন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি বুথ, গার্ডেনার ট্রেনিং স্কুলের একটি বুথ, পঞ্চাননতলা শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের দুটি বুথ, রুইপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রুইপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি, ভাতজাংলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস অফ দি অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র, পিডব্লিউডি রোড, এন এস ৩৪ এ একটি বুথ থাকছে। জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘মহিলাদের ভোটের কাজে উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ।’’
|
ভোটের ডিউটি সেরে ফিরে আসা বিধ্বস্ত ভোটকর্মীদের জন্য বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা করল নদিয়া জেলা প্রশাসন। ভোটকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে জেলাশাসকের স্বাক্ষরিত একটি ধন্যবাদজ্ঞাপক পত্র ও দুটো করে চকোলেট। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘টানা ৭২ ঘন্টা ডিউটির পর এই উপহারটাই ভোটকর্মীদের হাতে বিশেষ সম্মান হিসাবে তুলে দেওয়া হবে। এটা তাঁদের কাজের স্বীকৃতিও বটে।’’ জেলাশাসক পিবি সালিম বলেন, ‘‘ভোটকর্মীরা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করেন তাতে এই সম্মানটা তাঁদের প্রাপ্য।’’
|
কল্যাণীর সগুনাবাজারের কাছে মাঠের মধ্যে থেকে রবিবার দু’টি সকেট বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বোমা দু’টিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কারা ওখানে ওই বোমা রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। |