বনমহোত্সবের সমাপ্তি হল। ১৪ থেকে ২০ জুলাই, এক সপ্তাহ ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ, গাছের চারা বিলি, আলোচনাসভা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। বন দফতর ছাড়াও স্কুল-কলেজ, বেসরকারি সংস্থাও উত্সবে সামিল হয়েছিল। শনিবার শালবনির ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলে এক অনুষ্ঠানে স্কুল ক্যাম্পাস ও তার আশপাশে গাছ লাগানো হয়। |
শালবনির ভাদুতলা স্কুলে বনসৃজন।—নিজস্ব চিত্র। |
প্রধান শিক্ষক অমিতেশ চৌধুরী বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা যাতে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা বোঝে ও উষ্ণায়নের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচানোর তাত্পর্য উপলব্ধি করতে পারে সে জন্যই এই উদ্যোগ।” নারায়ণগড়ের মকরামপুর উচ্চ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরেও এ দিন গাছ লাগানো হয় একটি সংস্থার উদ্যোগে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার সৌম্যদীপ মহাপাত্র বলেন, “প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতেই সবুজকে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। সবুজ বাড়লে আমাদের চারপাশের পরিবেশ আরও সুন্দর হবে।”
|
গত ১৪ থেকে ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত বনমহোত্সব উপলক্ষে ‘আমার গাছ’ শীর্ষ অভিনব পরিকল্পনা করেছিলেন মহিষাদল বাগদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। বৃক্ষরোপণে ছাত্রছাত্রীদের উত্সাহ দিতেই এই আয়োজন। এই এক সপ্তাহে স্কুল চত্বরে রকমারি ফুলের গাছ লাগিয়েছে পড়ুয়ারা। সারা বছর গাছগুলির পরিচর্যাও করবে তারা। স্কুলের শিক্ষক অরিজিত্ বসু বলেন, “আগামীতে রামকৃষ্ণ মিশনে লোক শিক্ষা পরিষদের পরিচালনায় বিদ্যালয়ে ‘পৃথিবী সবুজ হোক’ শীর্ষক একটি আলোচনাসভা হবে।” |