পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে ‘অসম দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ’।
পর্ষদ সূত্রের খবর, নতুন পদ তৈরি এবং শূন্যপদে নিয়োগের মাধ্যমে কর্মী-সঙ্কট মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক অফিসগুলির জন্য নিজস্ব ভবনও তৈরি করা হবে।
পর্ষদের চেয়ারম্যান আর এম দুবে বলেন, ‘‘অর্থসঙ্কটে এত দিন কিছু করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতি বদলেছে। আগে নিয়মিত বেতন দেওয়াও সম্ভব হচ্ছিল না। বর্তমানে কর্মীরা ঠিক সময়েই বেতন পাচ্ছেন।”
তাঁর কথায়, “মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে উপযুক্ত পরিকাঠামো চাই। নতুন পরীক্ষাগার তৈরি
করতে হবে। প্রয়োজন হবে আধুনিক সরঞ্জামেরও।” পর্ষদ জানিয়েছে, বর্তমানে একমাত্র গুয়াহাটিতে তাদের গবেষণাগারটিতে সব রকম আধুনিক পরিকাঠামো রয়েছে। আঞ্চলিক অফিসের গবেষণাগারে যন্ত্রের অভাবে সমস্ত পরীক্ষাও করা যাচ্ছে না। এক পর্ষদ-কর্তা জানান, যথেষ্ট সংখ্যক কর্মী না-থাকলে রাজ্যের সব জায়গায় নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে ৫১টি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যে এখন পর্ষদের ৮টি আঞ্চলিক অফিসে কর্মী রয়েছেন ১৭৪ জন। তাঁদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা ৬০। পরিবেশ বিজ্ঞানী রয়েছেন ৩০ জন।
পর্ষদের চেয়ারম্যান বলছেন, “ইঞ্জিনিয়ার এবং পরিবেশ বিজ্ঞানীর পাশাপাশি সহকারী কর্মীরও অভাব রয়েছে। আঞ্চলিক অফিসগুলি থেকে বছরে এক কোটি টাকার বেশি রাজস্ব সংগ্রহ হয়। কিন্তু হিসাবরক্ষক নেই। তাই প্রতিটি আঞ্চলিক অফিসেই অন্তত একজন হিসাবরক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।” পর্ষদ জানিয়েছে, ৫১টি পদের মধ্যে ১ জন অ্যাডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার, ৫ জন পরিবেশ বিজ্ঞানী, ৮ জন হিসাবরক্ষক, ৮ জন ডেটা-এন্ট্রি অপারেটর, ১ জন ম্যানেজার-ফাইনান্স এবং ১ জন ম্যানেজার-হিউম্যান রিসোর্স নিয়োগ করা হবে। রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত মিললে এ জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান জানান, গোলাঘাট, ডিব্রুগড়, শিবসাগর, নগাঁও এবং তেজপুরে আঞ্চলিক অফিসের জন্য জমি দিয়েছে সরকার। সে সব জায়গায় দ্রুত ভবন তৈরির কাজ শুরু হবে। প্রতিটি ভবনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই বাড়িগুলিতে সোলার-আলো ব্যবহার করা হবে। |