গত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে জিতে তিনিই হয়েছিলেন প্রধান। পরে দলবিরোধী কাজের জন্য কংগ্রেস তাঁর স্বামীকে বহিষ্কারও করে। স্বামী জিন্নর আলি এখন তৃণমূলে। এ বার জেলা পরিষদের ৩৪ নম্বর আসনে শাসক দলের প্রার্থীও তিনিই। গ্রাম পঞ্চায়েতে স্ত্রী চাঁদ সুলতানাও ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে তিনি আর কংগ্রেসের প্রার্থী নন। খামেড্ডার বাসিন্দা, রামপুরহাট ২ ব্লকের বুধিগ্রাম পঞ্চায়েতের এই প্রাক্তন প্রধান সমাজবাদী পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছেন সাইকেল চিহ্নে।
স্বামীর দেখানো পথেই কেন হাঁটলেন না? একটু ভেবে চাঁদ সুলতানা বলেন, “আসলে তৃণমূল ওই আসনে প্রার্থী ঠিক করে ফেলেছিল। আমার নিজেরও আর ভোটে লড়ার ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু গত পঞ্চায়েতের কাজকর্মে লোকজন খুশি হয়ে প্রার্থী হতে চাপ দিচ্ছিলেন।” তাঁর দাবি, গ্রামবাসীকে সান্ত্বনা দিতেই সাইকেল চিহ্নে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। ভোটে দাঁড়িয়ে পড়লেও প্রাক্তন প্রধানের অবশ্য দাবি, “গ্রামে কোনও প্রচারই করছি না। দেওয়াল লিখনও করিনি। আমরা আসলে তৃণমূলেরই ভোট করাব।” যদিও ঘটনা হল, তাঁকে সমর্থন জানিয়ে সাইকেল চিহ্নের পতাকা কিন্তু রামভদ্রপুর সংসদে পতপত করেই উড়ছে। আর সে জন্যই চাঁদ সুলতানার উপরে অবশ্য বেজায় ক্ষুব্ধ ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ভারতী মাল। তাঁর বিস্ময়, “ওঁর স্বামী জেলা পরিষদে আমাদের দলের প্রার্থী। অথচ তিনি আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন!” ভারতীদেবীর অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীর স্ত্রী ভোটে তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়ায় এলাকার মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থী কে, তা বুঝতে অসুবিধায় পড়ছেন এলাকার ভোটাররা।
জিন্নর আলি দাবি করছেন, “স্ত্রী পাঁচ বছর প্রধান ছিলেন। সে সময়ে যা উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ সন্তুষ্ট। তাঁরাই চেয়েছিলেন, আমার স্ত্রী যেন আবার ভোটে দাঁড়িয়ে জিতে প্রধান হন।” তাঁর সংযোজন, “গ্রামবাসীকে সান্ত্বনা দিতেই স্ত্রী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তবে আমরা দু’জনেই ওই আসনে ভোট করছি তৃণমূল প্রার্থীর হয়েই।” দম্পতি যে দাবিই করুন না কেন, সমাজবাদী পার্টির জেলা কার্যকরী সভাপতি তামসের আলি কিন্তু পরিষ্কারই বলছেন, “চাঁদ সুলতানা আমাদের প্রার্থী। সেখানে সমাজবাদী পার্টির হয়েই তিনি প্রচার করছেন।” |