শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের অনুমানই ঠিক হল। ছপরার মশরক ব্লকের ধর্মসতী নবসৃজিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে ‘মনোক্রোটোফস’ নামক কীটনাশক তেল মিশেছিল। স্কুল থেকে সংগৃহীত নমুনার ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, বাজারে বিক্রি হওয়া কীটনাশকের থেকে পাঁচ গুণ শক্তিশালী এই বিষ। খাবারে বিষের হদিশ পাওয়ার পর পুলিশ এফআইআরে এ বার চক্রান্তের বিষয়টিও জুড়ে দিয়েছে।
ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার পরে এডিজি (সদর) রবীন্দ্র কুমার বলেন, মনোক্রোটফস অরগ্যানোফসফেট জাতীয় যৌগ। যা মানুষ এবং পশু-পাখিদের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। কী ভাবে এই কীটনাশক তেল মিশেছে তা তদন্তের বিষয়। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য রান্নার তেল, বাসনে থাকা খাবার, বমি, বাসন, চালের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তা পরীক্ষা করেই এটা জানা গিয়েছে।” তিনি বলেন, “রান্নার জায়গায় প্লাস্টিকের তেলের কৌটো পাওয়া যায়। সেখানে যে তেল ছিল তা পরীক্ষা করা হয়েছে।”
গত ১৬ জুলাই ধর্মসতী গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে ৮ থেকে ১২ বছর বয়সের ২৩ জনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মীনা দেবী ও তার স্বামী অর্জুন রাই ফেরার। এই দু’জনের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা মশরক থানায় এফআইআর করেন।
এ দিকে, দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী পাল্লাম রাজু স্বীকার করেছেন, ছপরার এই ঘটনায় এই প্রকল্প খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে। তবে সব কিছু ভুলেই কেন্দ্র-রাজ্য, দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিয়ে শিশু পুষ্টির এই প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে রাজু দাবি করেছিলেন, সারণ-সহ বিহারের ১২টি জেলায় মিড ডে মিলের খাবারের নিম্ন মান নিয়ে আগেই বিহারকে সতর্ক করা হয়েছিল। বিহার অবশ্য সতর্ক বার্তার কথা অস্বীকার করে। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে রাজু নতুন করে আর বিতর্কে চাননি।
বিহারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্য থেকে মিড ডে মিল নিয়ে নানা ঘটনা সামনে এসেছে। আজ মিড ডে মিল খেয়ে ছত্তীসগঢ়ে ৩৫ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেমেটারা জেলার ঘটনা। ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
|