|
|
|
|
যুবককে ঘায়েল করে লুটপাঠ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
গভীর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে গয়না ও নগদ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস লুঠ করে পালালো সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। তাদের বাধা দিতে গিয়ে ভোজালির কোপে গুরুতর আহত হলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার রাতে ডাকাতির এই ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম থানার সামসাবাদে আমগেছিয়া পাইকবাড় গ্রামে। আহত যুবক সোমনাথ পণ্ডাকে হাওড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পাইকবাড় গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণেন্দু পণ্ডার দুই ছেলে বিশ্বনাথ ও সোমনাথ। বিশ্বনাথবাবু বন্দরে কাজের সূত্রে গুজরাতে থাকেন। দিন কুড়ি আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছেন তিনি। আর সোমনাথবাবু গৃহশিক্ষকতা করেন। শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে ১২-১৪ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল হানা দেয়। কয়েকজন বাড়ির দোতলায় উঠে সোমনাথবাবুকে ঘুম থেকে তুলে অস্ত্র দেখিয়ে বাড়ির আলমারির চাবি চায়। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃৃতীরা সোমনাথবাবুর ডান হাতে ভোজালির কোপ মারে, মাথাতেও আঘাত করে। রক্তাত্ত সোমনাথবাবুকে দুষ্কৃৃতীরা টেনে নিচে নিয়ে আসার সময় ভাইয়ের চিৎকারে ঘুম ভাঙে বিশ্বনাথবাবুর। তাঁকেও ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে দুষ্কৃতীরা। বৃদ্ধ পূর্ণেন্দুবাবু-সহ বাড়ির সকলকে একটি ঘরে জোর করে আটকে রাখা হয় বলে জানা গিয়েছে।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সোমনাথবাবু দুষ্কৃতীদের আলমারির চাবি দিয়ে দেন। পণ্ডা পরিবারের দাবি, আলমারি থেকে প্রায় ১২ ভরি সোনার গয়না ও নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে পালায় ডাকাতেরা। স্থানীয় বাসিন্দারাই আহত সোমনাথবাবুকে প্রথমে নন্দীগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিশ্বনাথবাবু বলেন, “দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের মুখে রুমাল বাঁধা ছিল।” পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। |
|
|
|
|
|