বিমানবন্দর
অব্যবস্থায় নয়া সংযোজন ‘ক্যাট-ওয়াক’
রিকল্পনা কার্যকর হল, অথচ সমস্যা মিটল না। কারণ, মূল ক্ষতই চিহ্নিত হয়নি। হলেও তাতে প্রলেপ দেওয়ার মতো দাওয়াইয়ের খোঁজ মেলেনি।
কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল সম্পর্কে এমনই অভিযোগ যাত্রীদের। অভিযোগ, কোথাও উপচে পড়ছে আবর্জনা, শৌচাগারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, টার্মিনালের মধ্যেই মাথার উপরে এসে পড়ছে এসি-র জল। এ ছাড়া, লাউঞ্জে অনায়াসেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বেড়াল। কখনও আবার যাত্রীদের পায়ের কাছে পায়রা এসে বসছে বলেও অভিযোগ।
পুরনো টার্মিনালের ক্ষেত্রে এই অভিযোগ থাকলেও নতুন টার্মিনালের ক্ষেত্রে এই সমস্যা থাকবে না বলেই আশা করেছিলেন যাত্রীরা। তাঁদের মূল অভিযোগ, প্রশাসন উদাসীন। না হলে দেশের অন্যান্য টার্মিনালে ন্যূনতম এই পরিষেবায় ঘাটতি চোখে পড়ে না। কলকাতায় কেন হবে?

কলকাতা বিমানবন্দরের ঝাঁ-চকচকে নতুন টার্মিনাল এখন
বেড়ালেরও অবাধ বিচরণক্ষেত্র। শনিবার। ছবি: শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
বিমানবন্দর থেকে এক আত্মীয়কে আনতে গিয়েছিলেন বেলঘরিয়ার বাসিন্দা পরিচয় রায়। তিনি বলেন, “টার্মিনালের বাইরে শৌচাগারে দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যায় না। সাফাই হয় বলে মনে হয় না।” টার্মিনালের বাইরেই নয়, ভিতরের শৌচাগার নিয়েও রয়েছে অসন্তোষ। আরও অভিযোগ, রোজ যে সংখ্যক লোক বিমানবন্দরে আসেন, সেই তুলনায় শৌচাগারের সংখ্যা কম।
কিন্তু বেড়াল ঘুরে বেড়ায় কী ভাবে? বিমানযাত্রী কমলিকা বসু বলেন, “ফেলে দেওয়া খাবারের প্যাকেট থেকে অন্যান্য আবর্জনা ডাঁই হয়ে রয়েছে। নিয়মিত সাফ না হলে গন্ধে বেড়াল আসবেই।” বিমানবন্দর সূত্রে খবর, বিমানবন্দরের কর্মীদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকেরাও সাফাইয়ের কাজে যুক্ত। কিন্তু তা-ও পর্যাপ্ত নয়। অভিযোগ, কর্মীদের একাংশ কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন।
সিটু-র তরফে অমিতাভ নন্দীর অভিযোগ, সাফাইয়ের কাজে অভিজ্ঞ পুরনো কর্মীদের বসিয়ে দিয়ে নেওয়া হচ্ছে অনভিজ্ঞদের। এ ছাড়া, নিয়মিত কাজে গাফিলতি তো রয়েইছে। কর্মী-সংখ্যাও কমিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। অভিযোগ অস্বীকার করে বিমানবন্দরের তৃণমূল-সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা বরুণ নট্ট বলেন, “আগের থেকে সমস্যা কমেছে। শ্রমিকেরা নিয়মিত কাজ করছেন। কাজে ফাঁকি দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আছে। তবে, শুধু শ্রমিকদের ঘাড়ে দোষ চাপানো ঠিক নয়। নজরদারি, পরিকল্পনার ক্ষেত্রে প্রশাসনের দুর্বলতা রয়েছে।” বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিক বলেন, “নতুন টার্মিনালে প্রথমে কিছুটা সমস্যা হলেও এখন অনেকটাই কমেছে। সমস্যা দূর করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.