|
|
|
|
মোদী ও তাঁর টিমই নিশানা কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
নরেন্দ্র মোদীকে প্রচারের মুখ হিসাবে তুলে ধরে বিজেপি যখন সুশাসনের বার্তা দিতে চাইছে, তার জবাবে আজ গুজরাতে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে হাতিয়ার করতে চাইলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরশু এই রায়ে গুজরাতে রাজ্যপালের মাধ্যমে লোকায়ুক্ত নিয়োগের ব্যাপারে মোদী সরকারের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
কংগ্রেস মুখপাত্র রাজ বব্বর আজ বলেন, বিজেপি দিল্লিতে দুর্নীতির বিরোধিতায় সরব। অথচ যে ব্যক্তিকে তাঁরা সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন, তিনি গত দশ বছর ধরে দুর্নীতির তদন্ত থেকে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে গিয়েছেন। দশ বছর ধরে গুজরাতে লোকায়ুক্ত নিয়োগ ঠেকিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে গত কাল যে বিশ দফা টিম গড়েছে বিজেপি, আজ তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতারা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি বলেন, “বিজেপি এর আগে অনেক টিম গড়েছে। ক্রিকেট টিম, ভলিবল টিম। কিছুতেই কিছু হয়নি। এ বারও তা কাজে আসবে না।”
রাজ্যপাল যাতে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করতে না পারেন, সে জন্য কখনও হাইকোর্ট, কখনও বা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে গুজরাত সরকার। কিন্তু প্রথমে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ, তার পর রিভিউ বেঞ্চ গুজরাত সরকারের সব আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে। এ কথাও সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যপালই লোকায়ুক্ত নিয়োগ করবেন। কিন্তু তার পরেও সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন জমা দেয় গুজরাত সরকার। সেটাও পরশু খারিজ হয়ে যায়। কংগ্রেসের অভিযোগ, তদন্ত থেকে বাঁচতে সরকারি তহবিলের ৪৫ কোটি টাকা মামলা লড়তে খরচ করেছেন মোদী। এখানেও থেমে থাকেনি কংগ্রেস। গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন রাজ বব্বর। তাঁর কথায়, অতীতে এ রকম নজির দেখা গিয়েছে হিটলারের জমানায়। তাঁর বিরুদ্ধে কথা বললেই গর্দান যেত।
মোদীকে ভয় পাচ্ছেন বলেই কি কংগ্রেস বারে বারে প্রচারে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে চলেছে? এই প্রশ্নের জবাবে কংগ্রেস মুখপাত্র বলেন, “দেশের ক্ষতি করতে পারে এমন যে কোনও শক্তি সম্পর্কেই কংগ্রেস উদ্বিগ্ন। তবে তার মোকাবিলা করার ঐতিহ্যও কংগ্রেসের রয়েছে।” |
|
|
|
|
|