|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
স্বচক্ষে দেখা প্রয়োজন |
বইপোকা |
শুভ ঠাকুর! ‘সুন্দরম’ পত্রিকার সম্পাদক, বিখ্যাত শিল্প-সংগ্রাহক, সর্বোপরি বর্ণময় সাহসী এক চরিত্র সুভো ঠাকুরের নাম এই প্রকারে মুদ্রিত হইয়াছে কমলকুমার মজুমদারের প্রবন্ধ সংগ্রহ গ্রন্থের ‘রচনা পরিচয় ও প্রাসঙ্গিক তথ্য’ অংশে। কমলকুমারের পঁচিশটি প্রবন্ধ লইয়া এই সংকলন (চর্চাপদ, সম্পাদনা রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত মাজী)। তাহারই একটি প্রবন্ধ ‘ঢোকরা কামার’। প্রবন্ধটির সম্পর্কে লেখা হইয়াছে ‘প্রথম প্রকাশিত হয় শুভ ঠাকুর সম্পাদিত ‘সুন্দরম’ পত্রিকার প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যায়। ১৯৬৩ সালে।’ প্রমথ চৌধুরীকে প্রথম চৌধুরী লিখিতে দেখিয়াছি অনেক সংকলনে। কিন্তু তাই বলিয়া ‘অন্য ধারার প্রকাশনা’য় এমত বিভ্রাট! সুভোগেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সর্বার্থে ব্যতিক্রমী যে মানুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সহিত তাঁহার রক্তের সম্পর্কটিকে উড়াইয়া দেন, তাঁহার নাম লিখিতে দুই বার ভাবিয়া লওয়া উচিত ছিল। পত্রিকার নামটিও যথাযথ লিখিয়া উঠা যায় নাই। ‘সুন্দরম’ নহে, ‘সুন্দরম্’। তদুপরি ‘ঢোকরা কামার’ ‘সুন্দরম্’ পত্রিকার প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ঠিকই, তবে তাহা ১৯৬৩ নহে, ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে, অর্থাৎ ১৩৬৩ বঙ্গাব্দে। সম্পাদকেরা পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যাটি ‘স্ব’চক্ষে দেখিলে হয়তো পদে পদে এমন বিপদ ঘটিত না। না ঘটিলে, পূর্ববর্তী পত্রিকাগুলির সম্পাদকদের সম্পর্কে রাঘব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা-মন্তব্যটি সাজিত: ‘ছোটো কাগজের সম্পাদকরা তাঁর লেখা সম্পাদনা করার কথা কল্পনাও করতে পারেননি। তাঁদের বিদ্যাবুদ্ধির ঘাটতির থেকেও এক্ষেত্রে বড়ো হয়ে ওঠে ভয়-ভক্তি-শ্রদ্ধা। এসত্ত্বেও সতর্ক হলে অন্তত ছাপাটা নির্ভুল হতে পারত...’ |
|
|
|
|
|