|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা |
পর্যটক টানতে |
নব সাজের পালা
কৌশিক ঘোষ |
শুরু হল কলেজ স্কোয়্যারের সৌন্দর্যায়নের কাজ। এই প্রকল্পের জন্য অর্থ আসছে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন প্রোগাম’ থেকে। কাজের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য পর্যটন দফতর। এই প্রকল্পে কলেজ স্কোয়্যার ছাড়াও সংলগ্ন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের বাইরের ফুটপাথের সৌন্দর্যায়নের কাজ হবে।
রাজ্যের পর্যটন সচিব বিক্রম সেন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন প্রোগাম’-এ এই কাজ হচ্ছে। কলকাতা পুরসভা পার্ক-সহ ফুটপাথের সৌন্দর্যায়নের
দায়িত্বে আছে। এই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতর থেকে। মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গায়ে আলো লাগিয়েছে পর্যটন দফতরই। মহাত্মা গাঁধী রোডের সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনাও রয়েছে।” |
 |
কলকাতা পুরসভার প্রজেক্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ডিরেক্টর জেনারেল সুব্রত শীল বলেন, “প্রথম পর্যায়ের কাজের জন্য ৩৭ লক্ষ টাকা এসেছে। আপাতত এই কাজই চলছে।” এই অর্থে কলেজ স্কোয়্যারের সুইমিং পুলের ভিতরের রাস্তায় টাইল্স বসানো ছাড়াও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজের সামনের ফুটপাথে সুদৃশ্য রেলিং ও ফুটপাথের বাঁকে বাতিস্তম্ভ বসানো হবে। এর জন্য পুরনো নকশার রেলিং এবং বাতিস্তম্ভ তৈরির কাজ চলছে বলে পুরকর্তৃপক্ষের দাবি।
বিদ্যাসাগর উদ্যান (কলেজ স্কোয়্যার) ওয়েলফেয়ার কমিটি ২০০৩-এ কলেজ স্কোয়্যারের জলাশয়টির সংস্কারের কাজ শুরু করে। সেই কাজের সূচনা করতে এসে রাজ্যের তৎকালীন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানান, বিদ্যাসাগর উদ্যান ও সংলগ্ন এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। |
|
২০০৯-এ তৎকালীন পর্যটনমন্ত্রী মানব মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন প্রোগ্রাম’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১১-য় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা এলাকাটি পরিদর্শন করেন। ২০১২-য় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রকল্পের নকশা পাঠানো হয়।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে।
বিদ্যাসাগর উদ্যান (কলেজ স্কোয়্যার) ওয়েলফেয়ার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সিংহ বলেন, “প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় আমরা খুশি। এই উদ্যানের জন্য আরও অনেক পরিকল্পনা আছে। এই উদ্যান ঘিরে অনেক ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠান আছে। তাই পুরো এলাকার সৌন্দর্যায়ন প্রয়োজন। এতে বিদেশি পর্যটকদের আর্কষণ বাড়বে।” মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, “এই জায়গাটি ঐতিহ্যপূর্ণ। কেন্দ্রীয় পর্যটন দফতরের সহায়তায় এই সৌন্দর্যায়ন খুব প্রয়োজন ছিল। এ ছাড়া পুরসভাও নিয়মিত দেখাশোনা করে।” |
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য |
|
|
 |
|
|