লাঞ্চে ৪২-১।
লাঞ্চের পর প্রথম ড্রিঙ্কসে ৭৯-৪।
চা-বিরতিতে ৯৬-৭ এবং কিছু পরেই ১২৮ অল আউট।
শুক্রবার সারা দিনে লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং দুর্দশার ছবিটা যেন এই সংখ্যাগুলোই এঁকে দিল। কয়েকটা সংখ্যা দিয়ে তৈরি এর চেয়ে স্পষ্ট ছবি আর কী হতে পারে?
ওয়াটসনের ৩০ ও ক্লার্কের ২৮ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে আর কেউ নেই, যাঁর নামের পাশে ২০-র বেশি সংখ্যা লেখা আছে। মহাসম্মানের অ্যাসেজে এমন লজ্জার স্কোরবোর্ড গত দশ বছরে শেষ কবে দেখেছে অস্ট্রেলিয়া, তা গবেষণার বিষয়। ২০০৫-এ যে বার ইংল্যান্ড ২-১ সিরিজ হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে, সে বারও কোনও ইনিংসে এই দুর্দশা দেখা যায়নি অস্ট্রেলিয়ার। এ বার কি আরও বড় দুঃসময় অপেক্ষায় তাদের? |
আউট হয়ে ফিরছেন হতাশ ক্লার্ক। |
ইংরেজ বোলারদের দাপট দেখার মতো। অস্ট্রেলীয় পেসার রায়ান হ্যারিস ৫-৭২-র পরিসংখ্যান নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে গিয়ে যতটা খুশি হয়েছিলেন, গ্রেম সোয়ানের ৫-৪৪ দেখে নিশ্চয়ই ততটাই অখুশি। ক্রিকেট ঐতিহাসিকরা খুঁজে বের করছেন ব্রিটিশ শাসক ভারত ছাড়ার ১৩ বছর আগে লর্ডসে হেডলি ভেরিটি নামে এক স্পিনার অ্যাসেজে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। তার পর ক্রিকেটের ধাত্রীগৃহে এই সোয়ান!
প্রায় সারা দিন ধরেই লর্ডসে বসে তাঁর দেশের ক্রিকেটারদের দাপট দেখলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুধু দেখলেন বললে ভুল হবে। তারিয়ে তারিয়ে উপভোগও করলেন ইংল্যান্ডের এই ‘গো ফর উইকেট’ অভিযান। লাঞ্চে আবার বিবিসি-র কমেন্ট্রি বক্সে গিয়ে চুটিয়ে আড্ডাও মেরে এলেন স্যর জিওফ বয়কট এবং অন্যান্য ধারাভাষ্যকারদের সঙ্গে। সেখান থেকে বেরিয়ে স্টিভ ওয়-র সঙ্গে গল্প। লর্ডসের ভিআইপি জোনে যখন এমন ‘ফিল গুড’ হাওয়া, তখন সাধারণ গ্যালারিতেও তুমুল হইচই, পিকনিকের মেজাজ। হবে না-ই বা কেন? |
বিবিসি রেডিও-র কমেন্ট্রি বক্সে তখন জমজমাট আড্ডা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ডেভিড ক্যামরন ও প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক স্যর জিওফ বয়কটের। শুক্রবার লর্ডসে। |
তখন প্রায়ই অজিদের শিবিরে আঘাত হানছেন তাঁদের প্রিয় বোলাররা। সর্বসাকুল্যে সাড়ে তিপ্পান্ন ওভার ব্যাট করেছে অস্ট্রেলিয়া।
লর্ডস টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ২৩৩ রানে এগিয়ে যাওয়া দেখে টুইটারে ইয়ান বোথামের মন্তব্য, “ইটস অল গন ভেরি কোয়ায়েট ডাউন আন্ডার অ্যাট দ্য মোমেন্ট....কেন, বুঝতে পারছি না কিছুতেই।”
ইংল্যান্ড অধিনায়ক কুক অবশ্য ফলো অন করালেন না অস্ট্রেলিয়াকে। নিজেরাই ব্যাট করতে নেমে পড়লেন। তবে শেন ওয়ার্নের আইসিসি-র ‘হল অব ফেম’-এ ঢোকার দিন তাঁরাও তিন উইকেট খুইয়ে বসে রয়েছেন সিডলের ধাক্কায় (৪ রানে ৩ উইকেট)। তবে কুক (৮), ট্রট (০), পিটারসেনকে (৫) হারিয়ে ৩১-৩ হয়ে পড়লেও এখনই ২৬৪ রানে এগিয়ে। ক্লার্কের অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের জন্য চতুর্থ ইনিংসে এটাই চরম টার্গেট হয়তো! |