|
|
|
|
|
|
খেলা |
ছোট থেকে শুরু |
উত্তম রায় |
স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে হকির আগ্রহ বাড়াতে এগিয়ে এল হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টার ও রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ। তাদের উদ্যোগে জেলার ৪০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে ডুমুরজলার মাঠে হয়ে গেল ছ’মাসব্যাপী হকি প্রশিক্ষণ শিবির।
হাওড়া সাউথ পয়েন্ট, মারিয়াজ ডে স্কুল, হিন্দু গার্লস স্কুল, ভবানী বালিকা বিদ্যালয়, কেদারনাথ বয়েজ ও গার্লস হাইস্কুল, সাঁতরাগাছি বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়, ভানুমতী গার্লস স্কুলের মতো ১০টি স্কুলের পড়ুয়ারা এতে অংশ নেয়।
|
|
প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেওয়া প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদের পক্ষ থেকে পোশাক ও টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ দেন সন্ধ্যা চক্রবর্তী, বিক্রম মিনজ এবং জয়মসি এক্কা। এরা সকলেই জাতীয় স্তরের কোচ। প্রধান কোচ সন্ধ্যা চক্রবর্তী বলেন, “অধিকাংশ ছেলেমেয়েরই হকি নিয়ে কোনও ধারণা ছিল না। স্টিক ধরা থেকে শুরু করে বল হিট করা, বল রিসিভ করার মতো হকির প্রথম পাঠগুলি ধরে ধরে শেখানো হয়েছে।”
সাঁতরাগাছি কেদারনাথ ইনস্টিটিউশনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুরজিৎ পাত্র, গৌতম দাস বা বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শ্বেতা শর্মা ও মণীষা শর্মা অংশ নিতে পেরে খুশি সবাই। এদের হকি নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না। ক্যাম্পের কনিষ্ঠতম সদস্য মারিয়াজ ডে স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মেঘরাজ মান্দ্রা। প্রতি দিন স্কুল ছুটির পরে মায়ের সঙ্গে মাঠে চলে আসত সে। খেলার পাশাপাশি পোশাক আর টিফিন খুব পেয়ে খুশি। |
|
মা ঝুমা মান্দ্রার কথায়: “সাত বছরের মেঘরাজ টিভিতে দেখে হকি শিখতে চায়। তাই নিয়মিত ক্যাম্পে নিয়ে আসি। এখানে অনেক কিছু শিখেছে। খুব আনন্দও পেয়েছে।”
হাওড়া হকি ট্রেনিং সেন্টারের সভাপতি শক্তিপদ মজুমদার জানান, এ মাঠে প্রায় চার দশক ধরে হকির অনুশীলন চলছে। ছেলেদের দু’টি দল ও মেয়েদের দু’টি দল আছে। সচিব দিব্যেন্দু নাগ জানান, হকির জনপ্রিয়তা ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্প। ছোটদের উৎসাহ দিতে দুই সত্তরোর্ধ্ব খেলোয়াড় যোশেফ খান এবং হাবিল খালকো নিয়মিত মাঠে হাজির থাকতেন। |
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
|
|
|
|
|
|