|
|
|
|
নিজের বাড়ির সামনে খুন উত্তরপ্রদেশের বিএসপি নেতা
সংবাদসংস্থা • আজমগড় |
দিনেদুপুরে খুন হলেন উত্তরপ্রদেশের এক প্রাক্তন বিধায়ক। আর তার জেরে উত্তেজনা ছড়াল আজমগড় জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বিধায়কের নাম সর্বেশ সিংহ সিপু। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ির সামনেই খুন হন এই বিএসপি নেতা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহকারী। তাঁকেও অজ্ঞাতপরিচয় ওই আততায়ীর দল খুন করে পালায় বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
প্রাক্তন বিধায়কের হত্যার খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে উত্তেজিত জনতা। সর্বেশের প্রায় কয়েকশো সমর্থক হামলা চালান জিয়ানপুর পুলিশ থানায়। পুলিশকর্মীদের হাত থেকে রাইফেল কেড়ে নেন তাঁরা। পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন তাঁরা। এমনকী থানা জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও শুরু হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ক্ষুব্ধ জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অন্তত দু’টি ‘বজরা’ এবং ছ’টি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেন তাঁরা।
শেষমেশ উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশবাহিনী। জনতার একাংশের দাবি, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয় এক বিক্ষোভকারীর। আহত হয়েছেন ছ’জন। যদিও আইজি(আইনশৃঙ্খলা) আর কে বিশ্বকর্মা জানান, ওই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু আদৌ পুলিশের গুলিতে হয়েছে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁয়ত্রিশের সর্বেশ ২০১২ সাল অবধি সমাজবাদী পার্টির (সপা) বিধায়ক ছিলেন। তার পরে তিনি সমাজবাদী পার্টি ছেড়ে বহুজন সমাজ পার্টিতে (বিএসপি) যোগ দেন। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে নারাদ রাই নামে সর্বেশের এক সহকর্মী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে আসেন। কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী সর্বেশের বাড়ির সামনেই প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে সর্বেশ ও তাঁর সহকারীকে। প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চে দিল্লিতে এ ভাবেই আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন আর এক বিএসপি নেতা দ্বীপক ভরদ্বাজ। পরে অবশ্য জানা যায়, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলেই ষড়যন্ত্র করে খুন করেছে বাবাকে।
সর্বেশের ক্ষেত্রে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পুরনো বিরোধের জেরেই এই খুন। অপরাধীদের খোঁজে ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ। সতর্কবার্তা পৌঁছেছে লাগোয়া জেলাগুলিতেও। তা ছাড়া জাতীয় সড়ক ও মূল রাস্তার উপর বসেছে চেক পোস্ট।
যদিও এই হত্যার মধ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আঁচ পাচ্ছেন অনেকে। ঘটনাটির কড়া সমালোচনা করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। প্রত্যাশিত ভাবেই সবচেয়ে বেশি সরব বিএসপি নেতৃত্ব। লখনউতে এ দিন বিএসপির প্রবীণ নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য বলেন, “জনপ্রতিনিধিরাই যখন নিরাপদ নন, তখন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে কী আর বলা যায়?” গাফিলতির জন্য সপা সরকারকেও এক হাত নিয়েছেন মৌর্য। |
|
|
|
|
|