আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে জলপাইগুড়ি জেলায়। এক সঙ্গে তিনটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, এমন বুথগুলিতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মোতায়েন করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এ ছাড়াও জেলার প্রতিটি থানায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের রেখে দেওয়া হবে। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হলে, সংশ্লিষ্ট থানা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে যাওয়া হবে। বিরোধী দলের এক জেলা নেতার মন্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপার কুমির ছানার গল্পের মতো না হয়ে যায়।
|
নির্বাচনের আগে শেষ সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলিকে সভা আর মিছিলের অনুমতি দিতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আইসি, ওসিরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা সভার অনুমতি জোগাড়ে ভিড় জমাচ্ছে থানাগুলিতে। এক একটি থানায় প্রতিদিন ৭০-৮০টি করে আবেদন জমা পড়ছে। আবেদন পত্র বিডিওর কাছে পাঠানোর আগে কয়েক লাইনের নোট লিখতে হচ্ছে। থানার অন্য কাজ সামলানোর সঙ্গে, একাধিক আবেদেনে নোট লিখতে নাজেহাল হচ্ছেন অফিসারেরা।
|
বন দফতরের হল ঘর ভাড়া করে প্রস্তুতি রাখা ছিল। বৈঠক চলাকালীন জলখাবারও তৈরি হয়েছিল। ঠিক ছিল, সন্ধ্যায় ভুটনিরঘাটের জনসভা করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি চলে যাবেন, পশ্চিম ফালাকাটার বন দফতরের বাংলোয়। আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত স্তরের নেতৃত্বও বৈঠকে যোগ দিতে চলে যান। যদিও জনসভা শেষ হওয়ার পর বৃষ্টিতে বৈঠক ভেস্তে যায়। সুব্রতবাবু জানিয়ে দেন, মঞ্চেই বৈঠক হবে। ভুটনিরঘাটের মঞ্চে ১৫ মিনিটের বৈঠক শেষ করে সুব্রতবাবু কোচবিহারে রওনা হয়ে যান।
|
ফালাকাটা ১৫ নম্বর জেলা পরিষদে কংগ্রেস প্রার্থী সুনন্দা দাস (দে) তাঁর স্বামীর ভোট পাবেন না। এমনই দাবি করে প্রচার করছে তৃণমূল। এলাকায় কংগ্রেস কাউকে প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে সিপিএম-এর শিক্ষক সংগঠনের এক নেতার স্ত্রীকে ভোটে দাঁড় করিয়েছে। ফালাকাটার তৃণমূল দলের বিধায়ক অনিল অধিকারী জানান, সুনন্দাদেবীর স্বামী সিপিএমের প্রভাবশালী শিক্ষক নেতা। তাঁর ভোটটাও কংগ্রেস প্রার্থী পাবেন না। কংগ্রেস প্রার্থী সুনন্দাদেবী বলেছেন, “আমার স্বামীর গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে অন্য দল করার।”
|
ভোটের ফলে এগিয়ে সিপিএম। জলপাইগুড়িার বিনা লড়াইয়ে জয়ী আসনের সংখ্যার নিরিখে কংগ্রেস-তৃণমূলের থেকে এগিয়ে সিপিএম। জেলার নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে হয়েছে কোনও না কোনও দল অথবা নির্দল প্রার্থী। সিপিএম জিতেছে তিনটি আসন। কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয়ই ২টি করে আসনে জয় পেয়েছে। বাকি দুটি আসনের একটি আসনে আরএসপি ও অন্যটিকে নির্দল প্রার্থী জিতেছে।
|
ভরা বর্ষায় বিভিন্ন বুথে ভোট কর্মীদের সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে ভোটকেন্দ্রে কার্বলিক আ্যসিড ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভোটের আগের রাত বুথেই থাকতে হয় ভোটকর্মীদের। সে কারণে কালচিনির নানা বুথে ভোটের আগের রাত ও ভোটের দিন তা করবে জেলা প্রশাসন। বিডিও চন্দ্রসেন খাতি জানান, জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |