টুকরো খবর |
গুলিবিদ্ধ যুবকের দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
গুলিবিদ্ধ এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বুধবার রাতে শান্তিপুরের ঢাকুরিয়া এলাকার একটি রাস্তার ধার থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম পলাশ রায় (৩০)। তিনি রানাঘাটের হবিবপুর রায়পাড়ার বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর গুলি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের রামনগর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পাড়ায় স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকতেন পলাশ। তিনি সরকারি জাহাজ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বিদ্যুৎ নাথ নামে এক প্রতিবেশী পলাশকে ডেকে নিয়ে যান। তারপর থেকেই আর বাড়ি ফেরেননি পলাশ। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “যে ছেলেটি পলাশকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
|
কংগ্রেস প্রার্থীকে হুমকি
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
এক কংগ্রেস প্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নদিয়ার চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির ১৬ নম্বর আসনের কংগ্রেস প্রার্থী বিধুভূষণ চক্রবর্তী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁকে প্রচারে বের না হওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। বিধুবাবু জানিয়েছেন, “নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসতেই ওরা বুঝতে পারছে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। তাই আমাকে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে বেরোলে ভয় দেখানো হচ্ছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হরপ্রসাদ হালদার বলেন, “ওরা প্রচারের জন্য লোক খুঁজে পাচ্ছে না। তাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মানুষকে ভুল বোঝাতে চাইছে। এলাকার মানুষ খুব সচেতন। ওই বক্তব্যে কোনও কাজ হবে না।”
|
কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষ, জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
কংগ্রেসের ‘গড়’ বলে পরিচিত রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতে বুধবার রাতে কংগ্রেস-তৃণমূলের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন পাঁচ জন। ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে। ওই পঞ্চায়েতে ১৭ আসনের মধ্যে ১২টিতে শাসকদল প্রার্থী দিয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটে লড়ার জন্য তাদের প্রার্থীদের লাগাতার শাসাচ্ছে কংগ্রেস। এ দিন রাতে কংগ্রেসীরা তৃণমূল প্রার্থী টুয়েরা বিবির বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হানা দেয়। বাড়ির পুরুষেরা নির্বাচনী প্রচারে বাইরে ছিলেন। তখন দুষ্কৃতীরা প্রার্থী-সহ আশপাশের কয়েকজনের বাড়িতে বোমা ছোড়ে। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন, “কংগ্রেসের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আমাদের প্রার্থীর বাড়িতে অশশস্ত্র নিয়ে হামলা হয়। মারধর করা হয় মহিলা সমর্থকদের।” সন্ত্রাসের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেসের ব্লক সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী প্রকাশ সাহা বলেন, “তৃণমূলের লোকজনই বোমা ফাটিয়ে নাটক করছে।”
|
করিমপুরে কল্পতরু সুব্রত
নিজস্ব সংবাদদাতা • করিমপুর |
|
সভায় মন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র। |
করিমপুরের মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেন আর নাই দেন করিমপুরে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা তিনি করবেনই। বৃহস্পতিবার করিমপুরে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে এমন প্রতিশ্রুতিই দিয়ে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এ দিন সন্ধ্যায় করিমপুর জগন্নাথ হাই স্কুলের মাঠে জনসভার মঞ্চ থেকে সুব্রতবাবু বলেন, “গত ৩৪ বছরে বামফ্রন্ট্ সরকার পরিশ্রুত পানীয় জলটুকুও দিতে পারেনি। তারা শিল্প, স্বাস্থ্য, চাকরি এসবের ব্যবস্থা কি করে করবে?’’ পাশাপাশি তিনি এটাও মনে করিয়ে দেন,‘‘ তৃণমূলকে জেতালে আপনাদের এলাকার উন্নয়ন সহজেই হবে।” এদিন মঞ্চে উঠে কিঞ্চিত নস্টালজিক হয়ে পড়ে সুব্রতবাবু বলেন, “‘প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর সময়ে যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম তখন করিমপুরে অনেকবার এসেছি অনেকদিন পর আবার এলাম।”
|
মঞ্চ পুড়ল তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
হাসখালিতে অভিনেতা-বিধায়ক চিরঞ্জিতের প্রচার সভার জন্য বানানো মঞ্চ বুধবার রাতে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধীরা ওই মঞ্চ পুড়িয়েছে। এলাকার জেলা পরিষদের প্রার্থী কল্যাণ ঢালি বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে, সিপিএম-কংগ্রেস যৌথভাবে ওই মঞ্চ পুড়িয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, “আমাদের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তদন্ত করে আগুন লাগার কারণ খুঁজে দেখুক পুলিশ।” আর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাস বলেন, “নিজেরা আগুন লাগিয়ে আমাদের ফাঁসাতে চাইছে।” বৃহস্পতিবার পোড়া মঞ্চের পাশে তড়িঘরি নতুন একটি মঞ্চ বানিয়ে সভা করা হয়েছিল চিরঞ্জিতের।
|
দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
একদল দুষ্কৃতী বুধবার রাতে কৃষ্ণনগর শহর দাপিয়ে বেরাল। জনা কুড়ি যুবক উইকেট, হকি স্টিক নিয়ে শহরের ষষ্ঠীতলায় পৌঁছে যায়। আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “দু’পাড়ার ছেলেদের মধ্যে গণ্ডগোল বাধে। একজনকে ধরা হয়েছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এসএম সাদি বলেন, “ওরা তৃণমূল আশ্রিত সমাজবিরোধী।” রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের বক্তব্য, “এমন ঘটনা কানে আসেনি।” |
|