|
|
|
|
জন, যুদ্ধ, জার্নালিজম |
• সুজিতের ‘মাদ্রাজ কাফে’র ট্রেলারও মুক্তি পেয়েছে ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবির সঙ্গে। ট্রেলারটিতে জন আব্রাহাম, নার্গিস ফকরি আর সিদ্ধার্থ বসুকে একদম ভিন্ন রূপে গিয়েছে। জনকে নিয়ে সুজিত আজ পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞাপন শ্যুটিং করেননি। তবে ‘রকস্টার’ করার অনেক আগেই নার্গিসকে নিয়ে বিজ্ঞাপন শ্যুটিং করেছেন তিনি। বলছেন, “এই ছবিতে জন আর নার্গিসের কোনও নাচ বা গান নেই। সারা ছবিতে জন ফুলহাতা শার্ট পরে আছে। ওর পেশি দেখিয়ে দর্শক টানার কোনও চেষ্টা করিনি ছবিতে।” |
|
‘মাদ্রাজ কাফে’-তে নার্গিস ফকরি ও
জন আব্রাহাম |
• একটা সিভিল ওয়্যারের পটভূমিতে তৈরি এই ছবি। জন একজন ইন্টেলিজেন্স অফিসারের চরিত্রে। ‘কোভার্ট অপারেশন’ করতে গিয়ে একটা অদ্ভুত অবস্থার মধ্যে পড়েন তিনি। যেখানে চতুর্দিকে ষড়যন্ত্র আর রাজনীতি। কী ভবে শান্তিপ্রক্রিয়ার কাজ শুরু হবে এ সব নিয়ে কাজ করতে গিয়ে জন জানতে পারেন যে দেশের সামনে আরও একটা বড় থ্রেট রয়েছে। “ছবিটা কোনও র্যাম্বো অ্যাকশন ফিল্ম নয়। দ্য ফিল্ম ইজ মোর অব আ মাইন্ডগেম। হিন্দি, তামিল, মালয়ালম, এমনকী তামিল ভাষাও ব্যবহার করেছি এই সিনেমায়,” বলছেন সুজিত।
• ছবিতে ‘এলটিটিই’-র নামটা ব্যবহার করা হয়নি। কারণ গল্পটি কাল্পনিক। তবে সিনেমার পটভূমি শ্রীলঙ্কা এবং ছবিতে এমন অনেক সূত্র রাখা হয়েছে যা দেখে নাকি কিছু বাস্তবের চরিত্রের সঙ্গে মিলও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
• ইদানীং মহিলা ওয়ার রিপোর্টাররা প্রায়ই শিরোনামে উঠে আসছেন। ইতালির ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট ফ্রান্সেসকা বোরি, সিরিয়ার যুদ্ধকবলিত জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে রিপোর্টিং করার সময় কী রকম সন্মুখীন হয়েছেন তা এখন বহুলপ্রচারিত। পায়ে গুলি লাগার পরেও তিনি রিপোর্টিং করেছেন। প্রতি কপিপিছু সত্তর ডলার তাঁর উপার্জন। তাও আবার মাঝে মধ্যে বেনামে ছাপা হয়েছে। তবে নার্গিস ওয়ার রিপোর্টিংয়ের প্রতিকূলতাটাকে তুলে ধরেননি। “ওর কাগজের কাছে নার্গিস হল হিরো। একটা অ্যামবুশ সিকোয়েন্স ছিল যেখানে নার্গিসকে না জানিয়ে আমি শ্যুট করি। কাদা, নোংরা, পোকামাকড় নার্গিস তা দেখেই ভয় পেয়ে যায়। সে অবস্থায় ওর স্বতঃস্ফূর্ত রিঅ্যাকশনগুলোই আমরা ক্যামেরায় ধরে ফেলি! ক্যুইজ মাস্টার সিদ্ধার্থ বসুর অভিনয় দেখলে অনেকেই বলবেন যে বলিউড আরও একজন ভাল অভিনেতা পেল। আর একজন সারপ্রাইজ ফ্যাক্টর হলেন কলকাতার অরিজিৎ দত্ত,” জানাচ্ছেন সুজিত।
|
|
|
|
|
|