ধোঁয়াহীন তামাকজাত পণ্য নিষিদ্ধ করতে বিল অসমে |
রাজ্যে ধোঁয়াহীন তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে বিধানসভায় বিল পেশ করল সরকার। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ওই বিলটি পাশ হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন। তাতে গুটখা, জর্দা, পান মশলা বিক্রি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে। বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, আইন ভাঙলে ১ থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও কমপক্ষে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তামাক সেবন করতে গিয়ে ধরা পড়লে, প্রথমবার জরিমানা হবে হাজার টাকা। পরে, দু’হাজার টাকা। এ ধরণের তামাক-পণ্য নিষিদ্ধ করায় প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে সরকার।
অগপ বিধায়ক ফণীভূষণ চৌধুরী বলেন, “সিগারেটও ক্যান্সারের কারণ। তা-ও নিষিদ্ধ করা উচিত।” হিমন্ত জানান, প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে ধোঁয়াবিহীন তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তার সাফল্যের উপর ভিত্তি করে সিগারেটও নিষিদ্ধ হতে পারে।
|
খাদ্যে বিষক্রিয়ায় একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ১৬ জন। এদের মধ্যে রয়েছে ৬টি শিশু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে জয়নগর-২ ব্লকের গড়দেওয়ানি পঞ্চায়েতের উত্তরঠাকুরের চক গ্রামে। অসুস্থদের নিমপীঠ ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজার শেষে খাবার খেয়েছিলেন ওই গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়। তারপরই তাঁরা পরপর অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন। জয়নগর ব্লকের বিএমওএইচ সুশান্ত কুমার মজুমদার বলেন, “খাবারে বিষত্রিয়া থেকে হয়ে থাকতে পারে। তবে স্থানীয় নলকূপের জলও পরীক্ষার জন্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
|
ছপরার পর মধুবনি। সেখানে মিড-ডে মিলের রান্না করা খাবারের মধ্যে মিলল টিকটিকি। সেই খাবার খেয়ে প্রায় ৫০ জন ছাত্রছাত্রী বুধবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে সকলেই রাতে সুস্থ হয়ে ওঠে। মধুবনি শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে, বিসফি এলাকার নবটোলিয়া মিড্ল স্কুলের ঘটনা। মিড-ডে মিল খেয়ে বাচ্চাদের পেটে ব্যথা ও বমি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ৪৩ জনকেই ছেড়ে দিয়ে সাত জনকে ভর্তি করে স্যালাইন দেওয়া হয়। পরে তাদেরও বিপদ কেটে গিয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, সব্জির মধ্যে মরা টিকটিকি ছিল।
|
‘অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস্ রিপ্রেজেন্টেটিভস্ ইউনিয়ন’-এর মেদিনীপুর আঞ্চলিক শাখার উদ্যোগে বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক ক্যাম্পাসে এক রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবির উদ্বোধন করেন ব্লাড ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল অফিসার বাঁশরিমোহন মাইতি। সংগঠনের আঞ্চলিক শাখার সম্পাদক শান্তনু ভুঁইয়া জানান, শিবিরে সব মিলিয়ে ৫৯ জন রক্ত দেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই এই উদ্যোগ।
|
শিশুকে ইঞ্জেকশন রিকশাচালকের, মৃত্যু |
সরকারি হাসপাতাল আছে, কিন্তু নেই পর্যাপ্ত কর্মচারী। তাই ওষুধ খাওয়ানো, ইঞ্জেকশন দেওয়ার জন্য ভরসা জমাদার, রিকশাচালক। যাঁদের কোনও প্রশিক্ষণই নেই। দীর্ঘদিন এ ভাবেই চলার পর বালিয়া জেলা হাসপাতালে মঙ্গলবার এক শিশুর মৃত্যু হওয়ায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ, রাজু নামের এক রিকশাচালক শিশুটিকে ইঞ্জেকশন দেওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, রক্তে বিষক্রিয়া নিয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি ছিল সাত মাসের অজয়। মঙ্গলবার তাকে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন ‘প্রাইমাকর্ড’ দেওয়ার নির্দেশ দেন চিকিৎসক। সেটি দিতে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। ওই চিকিৎসক ফার্মাসিস্টকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার নির্দেশ দিলেও সেই ফার্মাসিস্ট রাজুকে ইঞ্জেকশন দিতে বলেন। আর তাতেই মৃত্যু হয় অজয়ের। সিসিটিভি ফুটেজে ওই ইঞ্জেকশন দেওয়ার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। গত বছরে এই হাসপাতালেই সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, এক জমাদার একটি শিশুর ক্ষত সেলাই করছেন। ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। |