শৌচাগারের জমা গজ-ব্যান্ডেজে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাসপাতালের মহিলাদের সার্জিকাল ওয়ার্ডে। আগুনের ধোঁয়া ওয়ার্ডে ঢুকতেই আতঙ্কে রোগিণীরা চিৎকার করতে তাকেন। কয়েকজন ছুটে বার হতে গিয়ে পড়ে গিয়ে জখম হন। হাত-পা ভাঙা রোগিণীরা অবশ্য বিছানা ছেড়ে নড়তে পারেননি। তাঁদের আর্তনাদে হাসপাতালে হইচই পড়ে যায়। স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে তাঁদের বার করেন। ইতিমধ্যে দমকলের একটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন আয়ত্বে আনে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য খবর পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে খবরাখবর নেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য রাতে হাসপাতালে যান। |
প্রাথমিক তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও দমকলের অনুমান, কেউ জলন্ত কিছু ব্যান্ডেজে ফেলায় আগুন ধরে যায়। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার জ্যোতিষ দাস বলেন, “কী ভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানান, শৌচাগারে আবর্জনা থাকার কথা নয়। তিনি বলেন, “গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও গাফিলতি পেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাসপাতালের রোগী-রোগিণীদের নিরাপত্তায় গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না।” |
হাসপাতাল সূত্রের খবর, দোতলার ওই ওয়ার্ডে মোট ৪৯ জন চিকিৎসাধীন। আচমকা ধোঁয়া বার হতে দেখেন ঠিকাদার সংস্থার এক কর্মী পল্লব দাস। যিনি তিন তলায় কাজ করছিলেন। তাঁর কাছ তেকে খবর পেয়ে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেখানে যান। ততক্ষণে কালো ধোঁয়া ওয়ার্ড ভরে যায়। রোগিণীরা চেঁচাচ্ছেন। ওয়ার্ডের নার্স ইন চার্জ মমতা কর্মকার বলেন, “শৌচাগারে আবর্জনা নিয়মিত সাফাইয়ের কথা। তা কেন হয়নি দেখা দরকার। বড় অঘটন থেকে বেঁচে গিয়েছি। শৌচাগারকের পাশে থাকা ২৫ জন রোগিণীকে অন্যত্র সরানো হয়েছে। বাকিরা ওয়ার্ডে রয়েছেন।”
|