সারদা কাণ্ডের জেরে এ বার তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা এবং বিভিন্ন প্রতারক বিনিয়োগকারীদের বিরুদ্ধে চটজলদি ব্যবস্থা নিতে সেবি-র হাতে আরও বেশি ক্ষমতা তুলে দিল তারা।
মন্ত্রিসভা আজ এই লক্ষ্যে ‘সেবি আইন’ সংশোধনের অনুমতি দিয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল্ল পটেল। নয়া ব্যবস্থায় সন্দেহভাজন আর্থিক সংস্থার চত্বরে তল্লাশি চালানো, কাজ বন্ধ করে দেওয়া, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা এবং টেলিফোন কল সংক্রান্ত তথ্যে নজরদারির অধিকার সরাসরি তুলে দেওয়া হবে বাজার নিয়ন্ত্রক সেবি-র হাতেই। টেলিফোন কল ব্যক্তি বা সংস্থা, যে কারও কাছ থেকেই আসতে পারে।
|
শহর, আধা-শহর ও গ্রাম-গঞ্জের সব ধরনের কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট স্কিম-এ বাজার থেকে সাধারণ মানুষের টাকা তুলে তা আর ফেরত না-দেওয়া বা গা ঢাকা দেওয়া বিভিন্ন সংস্থার কাজকর্ম বন্ধ করতেই এই ব্যবস্থা।
খোদ সেবি কর্তাদের সুপারিশ মেনে এবং সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক, যোজনা কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেই এই সংশোধনী তৈরি হয়েছে। কালেক্টিভ ইনভেস্টমেন্ট প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা বা তারও বেশি টাকা তোলা হয়েছে, এমন প্রকল্পে সেবি যাতে স্বাধীন ভাবে নজরদারি করতে পারে, সেই প্রস্তাবই পাঠান সেবি কর্তারা। পাশাপাশি, শুধু সংস্থা নয়, ব্যক্তির আনা বড়সড় প্রকল্পের অনুসন্ধানের ভার যাতে সেবি নিজের হাতে নিতে পারে, সেই দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। সেবি-র বেশির ভাগ দাবিই মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। এখনকার আইনে সেবি তল্লাশি চালাতে পারে মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিসট্রেট-এর অনুমতি নিয়ে। কিন্তু তাতে অহেতুক দেরি হয়। তদন্তে গোপনীয়তা রাখাও বহু ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির তরফে অনেক দিন ধরেই আইন বদলের দাবি করা হচ্ছিল।
|
পুরনো সম্পাদকীয়: নজরদারি |