পেটের রোগে ফের আক্রান্ত ২৫
কান্তোর গ্রামের পর এ বার পেটের রোগ ছড়াল দুবরাজপুরের দুর্লভপুর গ্রামের কাষ্ঠগড়াদলুই পাড়ায়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ২৫। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও তিন জন ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরেছেন। বাকিদের চিকিৎসা চলছে বাড়িতেই। ঘটনার খবর পেয়ে দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি মেডিক্যাল টিম ওই গ্রামে গিয়ে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা শুরু করেছে। আক্রান্তদের ওষুধ দেওয়ার পাশাপাশি রোগ যাতে আর না ছড়ায় তার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়ে এসেছেন। দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ কুণাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “খবর পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।” রোগ ছড়ানোর কারণ হিসেবে কান্তোর গ্রামের মতোই কাষ্ঠগড়া গ্রামের পুকুরের জলদূষণই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের উপসর্গ বলতে মূলত পায়খানা ও বমি দেখা গিয়েছে। কারও কারও ক্ষেত্রে সামান্য খিঁচুনি। এই সব উপসর্গ নিয়ে প্রথম দিন পাঁচেক আগে দেবু কর্মকার নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দা সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করিয়ে তিনি ছাড়া পেতে না পেতেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে আক্রান্ত হতে শুরু করেন গোবর্ধন দলুই, রক্ষাকর দলুই, গৌরী দলুই, মৌসুমী কর্মকার, ঝুমা দলুইদের মতো আরও অনেকে। এর পরেই এলাকার আশাকর্মী ও স্থানীয় শঙ্করপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র মারফত দুবরাজপুর গ্রামীণ হাসপাতালে খবর পৌঁছয়। কেন পুকুরের জল দূষিত হল? বাসিন্দাদের কথায়, “এই পাড়ায় প্রায় পঞ্চাশ ঘর বাসিন্দা রয়েছেন। পাড়ায় ব্যবহার করার মতো গভীর নলকূপ মাত্র একটি। আরও দু’ একটি নলকূপ থাকলেও তা বহু দিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে যাবতীয় কাজে পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ব্যবহারেই দূষণ ছড়িয়েছে বলে মনে হচ্ছে।” যদিও পুকুরের জল দূষিত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে পানীয় জল বাদ দিয়ে কাপড় কাঁচা, বাসন ধোয়া, স্নান করা, এমনকী শৌচকর্মের জন্যও পুকুরের জল ব্যবহারের প্রবণতাই (ওই গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে শৌচাগার না থাকায় পুকুরের জলই ব্যবহার করতে হয় বাসিন্দাদের) রোগ তৈরির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নলকূপ খারাপ হয়ে থাকার কথা আমাকে কেউ জানাননি। এ ধরনের খবর পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওখানে পেটের রোগ এখন নিয়ন্ত্রণে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”

ন্যায্যমূল্যে ডাক্তারি পরীক্ষা
ন্যায্যমূল্যে ওষুধের দোকানের মতো, ডাক্তারি পরীক্ষার কেন্দ্রও তৈরি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সারা রাজ্যে আমরা ৫০টি ন্যায্যমূল্যর ডায়গনাস্টিক সেন্টার করব।” উত্তরপাড়ায় ফিল্ম সিটি, বলাগড়ের সবুজ দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্র, সিঙ্গুরে নতুন কলেজ ও ট্রমা সেন্টার করার পরিকল্পনার কথাও এ দিন আবার মনে করিয়ে দেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.