উত্তরবঙ্গকে গুরুত্বহীন করতে চায় কংগ্রেস, তোপ গৌতমের
ত্তরবঙ্গকে গুরুত্বহীন করতে কংগ্রেস সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ওই অভিযোগ তোলেন। সিপিএমও তাতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে তাঁরা তীব্র আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়ে দেন।
গৌতমবাবু বলেন, “উত্তরবঙ্গকে গুরুত্বহীন করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস। কেন্দ্রে ইউপিএ সরকার থেকে আমরা বেরিয়ে আসার পর রাজ্যে তাঁদের বিধায়করা জোট ছেড়ে বেরিয়ে যায়। তার পর থেকে বিভিন্ন দফতর উত্তরবঙ্গ থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে উত্তরবঙ্গকে সামনে আনতে চাইছেন সেখানে তারা গুরুত্ব কমিয়ে দিতে সক্রিয় হয়েছেন। সিপিএম তাদের মদত দিচ্ছে।” কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার জানান, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “গৌতমবাবু তো কেবল পরিদর্শন করেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন। তা সকলেই জানেন। দু’বছরে তাঁরা উত্তরবঙ্গে কী কাজ করেছেন তার খতিয়ান দিলে খুশি হব।” প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা দার্জিলিং জেলা সিপিএমের অন্যতম নেতা অশোক ভট্টাচার্য জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকে রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা বাজেটে বরাদ্দ করে পিছিয়ে পড়া মনাুষের, সংখ্যা লঘুদের উন্নয়নের কাজ করতে দিয়েছে। তিনি বলেন, “গৌতমবাবু তা না করে ভোট পেতে কাজের নামে রাজনীতি করছেন। ৫০ কোটি টাকা দিয়ে মিনি মহাকরণ তৈরি করছেন। এ সব কী তাঁর দফতরের কাজ? আমাদের সময়ের কাজ এখন যেগুলি হচ্ছে বিজ্ঞাপন দিয়ে সে সব তাঁরা করেছেন বলে প্রচার করছেন।”
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর অভিযোগ, ‘ব্রহ্মপুত্র বেসিন’-এর অধীনে উত্তরবঙ্গে ৭৯ টি নদী রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র বোর্ড থেকে সে সব ক্ষেত্রে নদী ভাঙন-সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কাজের জন্য ফি বছর ১৫৮ কোটি টাকা করে ৫ বছর অর্থ বরাদ্দের কথা। প্রাথমিক পরিকল্পনা তৈরি করে ৪০ কোটি টাকা চাওয়া হলেও তা দেওয়া হয়নি। তাতে বন্যা, নদীভাঙন সমস্যা বেড়েছে উত্তরবঙ্গে। ৩১ ডি নম্বর জাতীয় সড়ক চার লেন তৈরির ব্যাপের কিছু ক্ষেত্রে জমির সমস্যা রয়েছে। সে জন্য ঘোষ পুকুর থেকে বারবিশা পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার একবারে কাজ করা সম্ভব না হলে দু’দফায় ৭৫ কিলোমিটার করে কাজ করতে বলা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে তাতে সম্মতিও জানায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। রাস্তাটি সংস্কারের জন্যও পর্যাপ্ত টাকা তারা দেননি। শিলিগুড়ি থেকে পাসপোর্ট তৈরির জন্য যে কেন্দ্র ছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে রেলবাস তোলার কথা ঘোষণা করা হয়। পরে তৃণমূলের আন্দোলনে তা করা যায়নি। দার্জিলিঙে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সস্টিটিউটের চেয়ারম্যান একসময় প্রধানমন্ত্রী হতেন। পরে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী ভাইসচেয়ারম্যান হন। এখন চেয়ারম্যান পদে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়েও কম পদমর্যাদার কাউকে বসানোর চেষ্টা চলছে। এ সবের প্রতিবাদেই তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.