ঝালদার বাঘবিন্ধ্যা ভোটকেন্দ্র। ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর এক রাত্রে মাওবাদীরা ওই গ্রামে ও সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়ে সাতজনকে হত্যা করে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা (ঝালদা-দঁড়দা গ্রাম পঞ্চায়েত) ফরওয়ার্ড ব্লকের মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান চপলা গড়াইতকেও খুন করে তারা। ঝালদা ১ পঞ্চায়েত সমিতির ফরওয়ার্ড ব্লক সভাপতি চণ্ডীচরণ সিং সর্দারের বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে না পেয়ে তাঁর ভাই তপন সিং সর্দারকেও হত্যা করে তারা। এ দিন অবশ্য সমস্ত আতঙ্ক দূরে রেখে ভোট দিল বাঘবিন্ধ্যা। এই বুথের ভোটার সংখ্যা ৫৯০। বিকেল পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রের খবর, এই বুথে ভোট পড়েছে ৮০ শতাংশের বেশি। ভোট দিয়েছেন গ্রামেরই বাসিন্দা চপলাদেবীর স্বামী দুখু গড়াইতও। তাঁর কথায়, “ভোট দিলাম। কিন্তু আমার স্ত্রী-সহ যাঁদের ওই রকম ভাবে মারল তারা কি কেউ শাস্তি পেল!” ভোট দিয়েছেন চণ্ডীচরণবাবুও। বললেন, “আমি সকালেই ভোট দিয়েছি।”
|
ব্যালট পেপারে কংগ্রেস প্রার্থীর নাম শ্যামলী নারায়ণ দেও। কিন্তু, তার পাশে ঘাসফুলের প্রতীক চিহ্ন। আর তৃণমূল প্রার্থী জ্যোৎস্না পান (পাত্র)-এর নামের পাশে হাত চিহ্ন। বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের শ্যামসুন্দরপুর পঞ্চায়েতের ৩৮ নম্বর (পিড়লগাড়ি আদিবাসী প্রাথমিক স্কুল) বুথে দুই দলের দুই প্রার্থীর প্রতীক বিভ্রাট। দু’দলের পোলিং এজেন্টরাই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে সরব হন। তার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘণ্টাখানেকের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখতে হয়। নতুন করে ব্যালট পেপার সংশোধন করে নিয়ে আসার পরে সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ ভোট প্রক্রিয়া চালু হয়। রাইপুরের বিডিও কিংশুক মাইতি বলেন, “বিষয়টি জানার পরেই ব্যালট পেপার পরিবর্তন করে দেওয়া হয়। সমস্যা মিটে গিয়েছে।”
|
রাজনৈতিক হানাহানির জেরে ওন্দা ব্লকের চিঙ্গানী এলাকাটি প্রায়ই খবরের শিরোনামে উঠে আসে। তাই ঝামেলা এড়াতে চিঙ্গানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বুথটি জেলা প্রশাসন অতি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করে ঝামেলা এড়াতে চার জন সশস্ত্র পুলিশ কর্মী মোতায়েন করেছে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের দিন এই বুথটিতে ঢুকে দেখা গেল ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী সুমিত্রা কর, তৃণমূলের চিঙ্গানী গ্রামপঞ্চায়েতের প্রার্থী শারিকা খাতুন-সহ অন্যান্য প্রার্থীরা পাশাপাশি বসে এক পুলিশ কর্মীর সঙ্গে গল্প জুড়েছেন। এমনটা হল কি করে? প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, এ সবই দক্ষিণদিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে আসা এক পুলিশ কর্মীর কামাল। তাঁরা বলেন, “উনি আমাদের সব প্রার্থীদের পাশাপাশি বসিয়ে অনেক মজার গল্প বলছেন। গল্পে এতই মজা যে উঠতেই পারছি না।” প্রার্থীদের কথা শুনে শুধু মুচকি হাসলেন ওই পুলিশ কর্মী। তিনি বললেন, “আমি বললাম এদিক ওদিক ঘুরলেই ঝামেলা বাড়তে পারে। তাই সবাই এক হয়ে বসে আমার গল্প শুনুন।” |