বেআইনি অস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার, আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা এলাকা থেকে। ধৃতের নাম সাদ্দাম হুসেন (২১)। সে নারকেলডাঙা থানা এলাকার কসাই বস্তির বাসিন্দা। এ দিন সকালে ওই যুবককে সন্দেহজনক ভাবে ফকিরচন্দ্র মিত্র স্ট্রিটে ঘোরাফেরা করতে দেখেন কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী। তল্লাশি করতেই তার কাছ থেকে কার্তুজ ভরা একটি দেশি রিভলভার মেলে। আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখার নথি দেখাতে না পারায় ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অন্য দিকে, বুধবার রাতে কেষ্টপুর খালপাড় থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতার করল বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম উত্তম হালদার। তার কাছ থেকে একটি দেশি রিভলভার এবং এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তার ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়। পুলিশ জানায়, এর আগে একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় উত্তমের নাম উঠেছিল। সম্প্রতি সল্টলেকের একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাতেও সে যুক্ত ছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
|
শহরের দু’টি এলাকা থেকে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে মিলিটারি ক্যাম্প থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ মেলে। মৃতের নাম হরিন্দর সিংহ (৪২)। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা হরিন্দর একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির সুবেদার ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দীর্ঘ দিন ধরে ওই ব্যক্তি অবসাদে ভুগছিলেন এবং কাজ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য আবেদনও করেছিলেন। পুলিশের অনুমান, এটি আত্মহত্যা। তবে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। অন্য দিকে, বুধবার রাতে মানিকতলার মুরারিপুকুরে এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার নাম স্বপ্না দাস (৩০)। পুলিশ জানায়, পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় স্বপ্নাদেবীর। কিন্তু এক বছর পর থেকে পারিবারিক বিবাদের জেরে তিনি বাপের বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধ ঘরের জানলা দিয়ে স্বপ্নাদেবীর ঝুলন্ত দেহ দেখেন বাড়ির লোকজন। হাসপাতালে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রেও কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি।
|
বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে বুধবার বিকেলে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ওয়াহিদ আলি (২১)। পুলিশ সূত্রের খবর, একবালপুর ভূ-কৈলাস রোডের বাসিন্দা ওই যুবক তাঁর পড়শি বছর উনিশের এক তরুণীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগ, গত পাঁচ বছর ধরে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাস করেন ওয়াহিদ। অভিযোগ, গত মঙ্গলবারও ওই তরুণীর সঙ্গে সহবাস করেন তিনি। কিন্তু সে দিন বিয়ের কথা উঠলে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওয়াহিদ। বুধবারই ওই তরুণী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ওয়াহিদকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ওই যুবককে ২৫ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
|
অটোর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। বৃহস্পতিবার, হরিদেবপুর থানা এলাকায় ৩এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে। মৃতের নাম বিদ্যুৎ সমাদ্দার (৪৫)। এ দিন দুপুরে ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে সাইকেলে যাচ্ছিলেন বিদ্যুৎবাবু। সেই সময়েই অটোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে সাইকেলের। তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধাক্কা লাগার পরে অটোটি সাইকেলকে কিছু দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিদ্যুৎবাবুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
|
ছিনতাইয়ের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে, ঠাকুরপুকুরের বোসপাড়া থেকে। ধৃতদের নাম রাজু শেখ এবং খোকন গুলজার। পুলিশ জানায়, বুধবার রথযাত্রার সময়ে এক মহিলার হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে তারা। স্থানীয়েরাই রাজুকে ধরে ফেলেন। পরে আমতলা থেকে খোকন গ্রেফতার হয়।
|
স্ট্র্যান্ড রোডে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাথে উঠে গেল যাত্রী-ভর্তি মিনিবাস। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের ওই দুর্ঘটনায় বাসচালক ও কয়েক জন আরোহী আহত হন। তিন মহিলা-সহ ১১ জনকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লেক রোড-হাওড়া স্টেশন রুটের মিনিবাসটি হাওড়া যাচ্ছিল। তরুণ শাহ নামে আহত এক যাত্রী বলেন, “ফেয়ারলি প্লেসের কাছে ডান দিকে ঘুরতে গিয়ে টাল সামলাতে না-পেরে বাসটি ফুটপাথে উঠে যায়।” এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ফুটপাথে উঠে প্রথমে বাতিস্তম্ভে, পরে একটি বাড়িতে ধাক্কা মেরে থেমে যায়। দরজা-সহ কিছুটা অংশ দুমড়ে যাওয়ায় আহতদের বাস থেকে বার করা মুশকিল হচ্ছিল।
|
ছাত্রনেতার মৃত্যু, শুনানি স্থগিত |
পুলিশি হেফাজতে ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর তদন্তের ভার সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে যে-মামলা হয়েছে, তার শুনানি এক মাস স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে আদালতে বলা হয়, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণেদিত হয়ে ওই ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্ত করছে। তাই এক মাস এই মামলার শুনানি স্থগিত রাখা হোক। মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রের বাবা প্রণব গুপ্ত। তাঁর আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য আদালতে জানান, তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে কিছু অসঙ্গতি আছে। যে-পুলিশকর্মী আহত সুদীপ্তকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁর কোনও জবানবন্দি নেই।
|