ফের সাড়া জাগানো এক ইনসুইং ইয়র্কার দিলেন ওয়াসিম আক্রম। তবে এ বার মাঠে নয়, ব্যক্তিগত জীবনে। আবার বিয়ে করছেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ের খবর সোমবারই জানালেন আক্রম। পাত্রী মেলবোর্নের প্রাক্তন জনসংযোগ উপদেষ্টা শানিরা থম্পসন, যিনি বিয়ের পর পাকিস্তানেই থাকবেন বলে ঠিক করেছেন। ধর্মান্তরিতও হয়েছেন।
প্রাক্তন পাক অধিনায়কের সিদ্ধান্তে ক্রিকেট মহলের অনেকেই বিস্মিত নন। কারণ, গত দেড় বছরে শানিরা-আক্রমকে বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে। ২০১১ থেকেই দু’জনের আলাপ। গত বছর আইপিএলের সময়ও আক্রমের সঙ্গে ছিলেন শানিরা। তাঁর ব্যাপারে কারও কাছে কোনও দিন কিছু লুকনোর চেষ্টা করেননি আক্রম। এ দিন অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে খবরটা প্রকাশিত হওয়ার পর ৪৭ বছর বয়সি আক্রম তা স্বীকার করে নিয়েই বলেন, “হ্যাঁ, আগামী বছরই বিয়ে করছি। গত দেড় বছর ধরেই আমরা একে অপরকে জানি। আমার জন্য ধর্মান্তরিত হয়েছে শানিরা।” রবিবারই তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন আক্রম। ৩০ বছরের শানিরা অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়াকে বলেছেন, “রীতিমতো হাঁটু গেড়ে ওয়াসিম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে আমাকে। আমি অভিভূত। এমন রোমান্টিক মুহূর্ত আমার জীবনে আর কখনও আসেনি।” |
২০০৯ অক্টোবরে হৃদ্যন্ত্র ও কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান আক্রমের স্ত্রী হুমা। বিয়ের ১৫ বছর পর স্ত্রী-র মৃত্যুতে বেশ ভেঙে পড়েন আক্রম। চিকিৎসার গাফিলতিই হুমার মৃত্যুর কারণ বলে ধারণা আক্রমের এবং এর প্রতিবাদের জন্য ফেসবুকে ‘জাস্টিস ফর হুমা আক্রম’ নামের একটি গ্রুপও তৈরি করেছেন তিনি। এখনও হুমার মৃত্যুর সঠিক বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন আক্রম।
তা সত্ত্বেও আবার বিয়ে? অনেকেরই মনে এখন এই প্রশ্ন উঠেছে। হয়তো তাঁদের উদ্দেশেই আবেগপ্রবণ আক্রম বলেছেন, “কখনও ভাবিনি আবার বিয়ে করব। তবে আমি ভাগ্যবান যে, জীবনে ভালবাসা ফিরে পেয়েছি। আবার সংসার পাতার সুযোগ পেয়েছি। জীবনই আমাকে আরও একটা সুযোগ এনে দিল। আমি খুশি। হুমা আমার জীবনের প্রথম অর্ধ। এ বার দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করতে চলেছি।”
দুই সন্তান তৈমুর ও আকবরের জন্য বেশ চিন্তায় ছিলেন আক্রম। মূলত তাঁদের সময় দেওয়ার জন্যই এই বছর আইপিএলে কেকেআরের বোলিং মেন্টরের দায়িত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি। দুই ছেলেকে ভালবাসার জন্যও পরিবারে একজনের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন ‘সুলতান অব সুইং’। ম্যাঞ্চেস্টার থেকে তিনি বলেন, “শানিরা আমার ছেলেদের খুব কাছের। তা ছাড়া হুমার বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমার এই সিদ্ধান্তে ওঁদেরও সায় রয়েছে। আশা করি এই নতুন জীবনে আমরা সুখী হব।” |