পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার অভিযোগ তুলে বাগানের গাছ কাটা রুখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার ব্যান্ডেলের দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নলডাঙা এলাকায় ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে সামাল দেয়। জেলা বনাধিকারিক চিত্তরঞ্জন প্রামাণিক বলেন, “খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দক্ষিণ নলডাঙার বাসিন্দা নিমাই বাগের জমি রয়েছে বাড়ির কাছেই। তিনি আম, তাল-সহ বেশ কিছু গাছ লাগিয়ে ছিলেন। দিন কয়েক আগে বাগানের চারটি তাল গাছ কেটে ফেলা হয়। রবিবার দুপুরে একটি আম গাছ কাটা শুরু হলে বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। যাঁরা গাছ কাটছিলেন, তাঁরা পালান। |
স্থানীয় বাসিন্দা অম্লান দে বলেন, “কিছু দিন ধরে তাল গাছ কাটা হয়। এখন পূর্ণবয়স্ক আমগাছেও হাত দেওয়া হয়েছে। মনে হয় গাছ কেটে জমি বিক্রির পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া পূর্ণবয়স্ক গাছ কাটা যায় না বলেই জানি। তা ছাড়া, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গাছ কাটতে দেওয়া হবে না।” প্রীতম মিত্র নামে আর এক জন বলেন, “দুষ্কৃতীদের সাহায্যে দালালের মাধ্যমে জমির মালিক গাছগুলি কেটে ফেলার ব্যবস্থা করেছিলেন।”
মালিক নিমাই বাগের পক্ষ থেকে বাগান দেখভাল করেন তাঁর আত্মীয় স্বরূপ মিত্র। জমি বিক্রির পরিকল্পনার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরূপবাবু। তাঁর দাবি, “বেশ কিছু দিন ধরে দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে বাগানে জড়ো হচ্ছে। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় কিছু গাছ কেটে বাগান পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম। এলাকারই কিছু লোক আপত্তি জানালেন। আর গাছ কাটব না বলেই স্থির করেছি। গাছ কাটার জন্য বন দফতরের যে অনুমতি নিতে হয় জানতাম না।” |