মারধরে তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে জড়িয়ে গেল সিপিএমের নাম
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগৎবল্লভপুর |
ক’দিন আগে মারপিটে জখম হয়েছিলেন এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার তিনি মারা যাওয়ায় ওই ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের পশ্চিম নরেন্দ্রপুরের। নিহতের নাম ভোলানাথ ধক (৩৫)। পুলিশ জানায়, গত ২৫ জুন বাড়িতে বিদ্যুতের তার টানাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মারপিটে জখম হন ভোলানাথ। তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সোমবার সকালে সেখানেই মারা যান ওই যুবক। ভোলানাথবাবুর স্ত্রী মমতা ২৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। মোহন দলুই এবং বিমলা ধঁক নামে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। তৃণমূলের দাবি, নিহত যুবক তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। সেই আক্রোশেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকে খুন করেছে। জগৎবল্লভপুরের তৃণমূল বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লার অভিযোগ, “ভোলানাথ ও তাঁর পরিবার তৃণমূল করেন বলেই তাঁর বাড়িতে বিদ্যুতের তার টানতে বাধা দিচ্ছিল সিপিএম। বিবাদের সুযোগ নিয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুন করল।” ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে আসেন আবুল কাশেম মোল্লা, জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায়, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। ভোলানাথের দেহ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল বেরোয়। সিপিএমের হাওড়া জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদার বলেন, “প্রতিবাদ মিছিলের নামে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা আমাদের দলের কয়েক জন সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের দু’জন সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।” ভাঙচুরের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
|
বোমা ফেটে আহত ২ শ্রমিক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বালির নীচে রাখা ছিল বোমা। সেই বালির উপরে ইট ফেলতেই বোমা ফেটে জখম হলেন দুই শ্রমিক। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দা দফতরের সামনে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ওই নির্মীয়মাণ বাড়িতে ইট তুলছিলেন মহম্মদ মইউদ্দিন ও মহম্মদ মিন্টু নামে দুই শ্রমিক। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, স্তূপাকৃতি বালির উপরে ইট ফেলতেই বিকট আওয়াজ হয়। ছিটকে পড়েন মইউদ্দিন ও মিন্টু। আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অন্য শ্রমিকেরা। দেখেন, ওই দুই শ্রমিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মইউদ্দিনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিন্টুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনার পরেই ওই নির্মীয়মাণ বাড়িটিতে যান হাওড়া সিটি পুলিশের অফিসারেরা। কিন্তু বালির নীচে আর কোনও বোমার সন্ধান মেলেনি। তবে কে বা কারা বালির স্তূপে বোমা রেখেছিল, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিটি পুলিশের কর্তারা।
|
পাঁচলায় পুড়ল একটি বাড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাঁচলা |
আগুন লেগে পুড়ল বাড়ি। বাড়ির মালিক তারক ঘোষ। রবিবার রাতে পাঁচলার এই ঘটনায় তারকবাবুর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সিপিএম-বিজেপির টানাটানি চলছে। সিপিএম নেতা নবীন ঘোষ বলেন, “তারকবাবু আমাদের সমর্থক। সেই আক্রোশে বাড়ি পুড়িয়েছে তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।” |
আস্ত আছে কি কিছু? —নিজস্ব চিত্র। |
তারকবাবু নিজেও বলেন, “আমি সিপিএমেরই সমর্থক।” যদিও বিজেপি নেতা রঞ্জন পালের দাবি, বিজেপির সঙ্গে যুক্ত থাকাতেই তৃণমূল তারকবাবুর বাড়িতে আগুন দিয়েছে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, “শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন।” অন্য দিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, রবিবার জয়পুরের আজানগাছিতে তাদের কার্যালয় ভাঙচুর করে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
|
সরকারি ভাবে বি এড প্রশিক্ষণ কারা পাবেন সেই সংক্রান্ত তালিকায় অসঙ্গতি এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে না পাঠানোর অভিযোগ তুলে সোমবার হুগলির জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) অফিস ঘেরাও করলেন কয়েকশো শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ, দফতরের গাফিলতির জন্যই ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে সঠিক তালিকা পাঠানোর দাবি তোলেন তাঁরা। দুপুর ১২টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। জেলা স্কুল পরিদর্শক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। |