সম্পাদক সমীপেষু...
ফুটবলের আইপিএল
আই পি এল (ফুটবল) আটকানোর উদ্যোগ চলছে। (‘ফুটবলের আই পি এল টুর্নামেন্ট আটকাতে এককাট্টা ক্লাব জোট’, ৪-৬) ক্রিকেটের বিপুল উত্থানে বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের আজ বেসামাল অবস্থা। সন্তোষ ট্রফি তার জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে। রোভার্স কাপ বন্ধ। ডুরান্ড কাপ এবং আই এফ এ শিল্ড নিয়ম রক্ষার টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। কলকাতার একদা আকর্ষণীয় লিগ কবে শুরু আর কবেই বা শেষ হয়, এখন তা বেশির ভাগ ফুটবল-প্রেমিক মনেই রাখে না।
শহর কলকাতা ও গ্রামবাংলা জুড়ে এখন সারা বছর ধরেই ক্রিকেট চর্চা চলছে। আগে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে গড়ের মাঠে গর্জন শুরু হয়ে যেত তিন প্রধান মাঠে নামার সঙ্গে সঙ্গে, শেষ হত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আই এফ এ শিল্ড শেষ হওয়ার পরেই। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানের খেলা যে-দিনই থাকত, সে দিনই দুপুর থেকে তিল তিল করে বিভিন্ন বয়সের ফুটবল-প্রেমিকরা ময়দানমুখী হত। খেলা দেখতে লোক এখনও আসে, তবে তা সংখ্যায় নগণ্য আর সে-উত্‌সাহতেও পড়ে গেছে ভাটা। ক্রিকেটের ধাক্কায় ফুটবলের প্রচলন বহুলাংশে কমে গেছে বলেই ভাল বাঙালি ফুটবলার আর উঠে আসছে না। যার ফলে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে বিদেশ থেকে আর পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ফুটবলার নিয়ে আসতে হচ্ছে।
২০০৬-এ কলকাতার যুবভারতীতে এশীয় যুব ফুটবল ফাইনালে উত্তর কোরিয়া ও জাপানের উন্নত মানের ও আকর্ষণীয় খেলা দেখতে পাঁচ হাজারের বেশি দর্শক ছিল না, আমি নিজে সাক্ষী।
প্রস্তাবিত আই পি এল (ফুটবল) টুর্নামেন্টে বিশ্বের নামকরা ফুটবলাররা অংশগ্রহণ করবে বলে খবরে প্রকাশ। এ খবর যদি সত্যি হয়, তা হলে আই পি এল (ফুটবল) ঘিরে উন্মাদনার সৃষ্টি অবশ্যই ঘটবে। তবে টিকিটের মূল্য সাধ্যের মধ্যেই রাখতে হবে। আই পি এল (ক্রিকেট) কেলেঙ্কারিতে ভরে গেছে বলে ফুটবলের আই পি এল-ও কেলেঙ্কারিতে ভরে যাবে, এই অনুমানের ভিত্তিতে আই পি এল (ফুটবল) বিরোধিতা করা ফুটবলের পরিপন্থী বলেই মনে করি। বরং ক্লাবজোটের উচিত, ভারতীয় ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে সর্বোপরি ফুটবলের সেই হারিয়ে যাওয়া উন্মাদনাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আই পি এল (ফুটবল)-কে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করা। তবে ফেডারেশন কাপ এবং আই লিগ যাতে সুষ্ঠু ভাবে চলে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি
রাজ্য সরকার ‘ওবিসি এ’-তে যে সংরক্ষণ করেছে, সেখানে অধিকাংশ মুসলিমরা অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু ‘ওবিসি এ’ সার্টিফিকেট প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির ক্ষেত্রে কোনও সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন না। আমার এলাকার কয়েক জন ‘ওবিসি এ’ প্রার্থী সেনাবাহিনী ও রেলের পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন। লিখিত পরীক্ষা, নথিপত্র যাচাই ও ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, তাঁদের ওই ‘ওবিসি এ’ সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির ক্ষেত্রে বৈধ নয়। এর জন্য দায়ী কে? কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে একটা চাকরি হলেও রাজ্য সরকারের ভুলের জন্য সেই চাকরি হারাতে হল!
থামতেও তো হবে
২১ জুন, ২০১৩-র মহামিছিলে পা মেলানো যে সব গুণিজন সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় নীরব ছিলেন, কৌশিক সেন (‘আমরা কি তা হলে সুবিধে মতো জাগব’, ২৭-৬) তাঁদের সমালোচনা করেছেন। এর আগেও তিনি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ওই একই বিষয়ে বেশ কয়েক বার তাঁর ক্ষোভ জানিয়েছেন। এই ক্ষোভ সঙ্গত। কিন্তু এটাও তো ঠিক, একটা জায়গায় থামতে হবে। না হলে ‘আমরা-ওরা’ বিভাজন বেড়েই চলবে। এখন একটা অস্থির সময়ের মধ্যে আমাদের রাজ্য এগিয়ে চলেছে। টুম্পা-মৌসুমীরা অনেকটা সাহস নিয়ে, অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে। মান-অভিমান ভুলে গুণিজনেরা যদি একসঙ্গে পথে নামতে না পারেন, তা হলে ইতিহাসও এক দিন তাঁদের দিকে আঙুল তুলবে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.