গুগলি রাউন্ড |
‘দাদাগিরি’ শুরু অগস্ট মাসে। সেই পুরনো এবং অকৃত্রিম দাদাকে নিয়ে। নির্ঘাত সেখানে গুগলি রাউন্ড থাকবে।
আনন্দplusও তেমনই
তার লাখ লাখ পাঠকের মধ্যে একজনকে বেছে নিয়েছিল, সৌরভকে বিশেষ প্রশ্ন করার
জন্য,
যেগুলো এক হিসেবে গুগলি।
কারণ সৌরভ তো অবাক হয়ে যাবেন ভেবে, গোপন
প্রশ্নগুলো যে করছে, সে জানল কী করে? লিখছেন গৌতম ভট্টাচার্য
|
প্রশ্ন ১ |
আগে বাড়ির কোনও খবরই রাখতেন না। কোথায় কী হল, না-হল। অথচ এখন একটা সুইচ কেটে গেলেও যত ক্ষণ না সেটা লাগানো হচ্ছে, আপনার শান্তি নেই। বছর দেড়েক ধরে পরিবর্তনটা
দেখা যাচ্ছে। রহস্যটা কী? |
জবাব |
আগে বাবা বেঁচে ছিলেন। আমাকে এত কিছু দেখতে টেখতে হত না। এখন বাবা-মা-র পুরো দায়িত্ব আমি নিয়ে নিয়েছি। আমি না করলে দেখবেই বা কে? বাড়ির কাজ তো ছেলেকেই করতে হবে। |
|
মহারাজের পৃথিবী |
প্রশ্ন ২ |
বাড়ির ক্যাপ্টেন্সি এখন নাকি আপনি নিজেই নিয়ে নিয়েছেন? বাসিন্দাদের মনে হচ্ছে, প্রচণ্ড ‘কন্ট্রোল ফ্রিক’ হয়ে উঠেছেন। আপনাকে বাড়ির প্রতিদিনের রুটিন না জানালে, জায়গার জিনিস কেউ জায়গায় না রাখলে, ইদানীং আপনি খুব চটে যাচ্ছেন। আগে এ সব দৈনন্দিন সংসারী ব্যাপারস্যাপার নিয়ে আপনাকে কেউ মাথা ঘামাতেই দেখেনি। |
জবাব |
আগে খেলার জন্য বাইরে বাইরে কাটাতাম। সুযোগ কোথায় ছিল বাড়ির খুঁটিনাটি খবর রাখার? হ্যাঁ, এটা সত্যি কথা, জায়গার জিনিস এখন আমার জায়গায় চাই। নইলে বিরক্তি ধরে যায়। ক্যাপ্টেন্সিটা নিয়েছি বলতে পারেন। |
|
প্রশ্ন ৩ |
ক্রিকেট ছেড়ে দিয়েছেন এত দিন। অথচ বাড়ির ভিতরের ঘরে আজও সুযোগ পেলেই পরম যত্নে ব্যাট নেড়েচেড়ে দেখেন। শ্যাডো করে যান ক্রমাগত। অবসর জীবনে চলে-যাওয়া একটা লোক এত শ্যাডো করে কেন? |
জবাব |
আসলে যে ঘরের কথা বলা হচ্ছে, সে ঘরে আমার ব্যাটগুলো আছে। ওখানে ঢুকলেই ব্যাটটা হাতে নিয়ে দেখি। অনেক সময় শ্যাডোও করি। এত দিনকার অভ্যেস কী করে রাতারাতি চলে যায়?
|
“বাবা, কী সব প্রশ্ন,” কোয়েল অবাক হয়ে যাচ্ছেন। সৌরভ? সৌরভকে এতটুকুও বিস্মিত
দেখাচ্ছে না।
“কে প্রশ্নগুলো
করেছে বলে দিচ্ছি। নির্ঘাত ডোনা। নইলে আর কেউ এই
সব কথা জানতে
পারে না।” গুগলি রাউন্ডে ঠিক উত্তর দিলে যেন কত পয়েন্ট পাওয়া যায়! |
|
|