রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সভার আগে কোচবিহারের দুটি জায়গায় সভামঞ্চ, ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়ে বাজার বন্ধ রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
শনিবার কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় বিরোধী দলনেতার তিনটি জনসভা ছিল। কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের ঢাংঢিংগুড়িতে সিপিএমের সভা মঞ্চের বাঁশ খুলে মঞ্চ ভাঙার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতে ভেটাগুড়িতে সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় দিনভরই থমথমে ছিল এলাকা। সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের হুমকির জেরেই ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, বামেরা অশান্তি করবে আশঙ্কা করেই ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি নিয়ে দোকান খুলতে চান নি। এ দিন বিকেলে ভেটাগুড়িতে সভা করতে এসে সূর্যকান্তবাবু বলেন, “দোকান ভাঙছেন, আমাদের কর্মীদের মিছিল রুখতে ভয় দেখাচ্ছেন, পার্টি অফিস ভাঙছেন। এ সব করে কী লাভ? মানুষ নিজেদের বিবেক দিয়ে বিচার করবেন, কাদের পক্ষে থাকবেন।” ভেটাগুড়িতে বাজার বন্ধ থাকার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “কোথায় বাইরে থেকে কেউ এলে এলাকার মানুষ ভদ্রতা করে চা খাওয়াবেন, তা না করে হুমকির ভয়ে দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। মানুষ সব কিছুরই জবাব দেবেন।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “দু’পক্ষই দলীয় অফিস ভাঙচুরের ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে তদন্ত হচ্ছে।” সিপিএমের অভিযোগ, এ দিন শনিবার সন্ধ্যায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সভা ভেস্তে দিতেই পরিকল্পিতভাবে শুক্রবার রাতে ভেটাগুড়ির সিপিএম লোকাল কমিটির অফিসের ঢুকে তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুর চালায়। সিপিএমের দিনহাটা জোনাল সম্পাদক তারাপদ বর্মন বলেন, “বিরোধী দলনেতার সভা বানচালের ছক করেই আমাদের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল। পরে নিজেরা নিজেদের অফিসে ভাঙচুর করে, এলাকার ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখতে হুমকি দিয়েছে তৃণমূল।”যদিও তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, ভেটাগুড়ি অঞ্চল তৃণমূল পার্টি অফিসেও শুক্রবার রাতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে শাসক দলের অভিযোগ। পার্টি অফিসের চেয়ার-টেবিল, টিভি ভাঙা হয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “সিপিএম সভার আগে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এটা বুঝতে পেরেই, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সে জন্য অনেকে দোকান খোলার ঝুঁকি নেননি।” |