কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ |
দল বদল করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের জয়গাঁয় কংগ্রেস-তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জয়গাঁ থানার ঝর্না বস্তি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে কংগ্রেস সমর্থক রবিউল মিঞা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক রফিকুল মিঞার মধ্যে বচসা শুরু হয়, দুজনের মধ্যে হাতাহাতিও হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই ঘটনা থেকে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সর্ংঘষও হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের জয়গাঁ ২ অঞ্চল সভাপতি রজব আলি বলেন, “দলের সক্রিয় সমর্থক রফিকুল চায়ের দোকানে বসে ছিল। কংগ্রেসের রবিউল তাঁকে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ না দিলে মারধর করার হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে তাঁর উপর আক্রমণ হয়। পরে রফিকুল বাড়ি ফিরলে, কংগ্রেস কর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা বাবাকেও মারধর করে।” অন্যদিকে, তৃণমূল মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে দাবি করে কংগ্রেস নেতা আব্বাস আলির। তাঁর অভিযোগ, “রফিকুল-ই আমাদের কংগ্রেস কর্মীকে তৃণমূলে যোগ দিতে বলে হুমকি দেয়। প্রতিবাদ করলে তৃণমূল কর্মীরা মদ্যপ অবস্থায় আমাদের কর্মী রবিউলের পরিবারের উপর হামলা চালায়।”
|
মারধর তিন তৃণমূল সমর্থককে, নালিশ |
তৃণমূলের তিন সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে দু’জনকে কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে কালচিনির চুয়াপাড়া চা বাগানের কাঠালতলা এলাকায়। রাতে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কালচিনি থানার ওসি রিংচেন লামা ভুটিয়া জানান, চুয়াপাড়ার দুই চা শ্রমিক ভাই সুদীপ মাহালি ও দিওয়াস মাহালিকে কিছু যুবক লোহার রড, ভোজালি দিয়ে মারধর করেছে। সুদীপের স্ত্রী শিওন মাহালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের খোঁজা হচ্ছে। কোনও দল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযোগ জানায়নি। তৃণমূল নেতা অনিরুদ্ধ গোস্বামী জানান, একটি নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে সীতারাম মাহালি, সুদীপ মাহালি ও দিওয়াস মাহালি বাড়ি ফিরছিল। কাঠালতলায় কংগ্রেসের ১০-১২ জন সমর্থক তাদের মারধর করে। অভিযোগ অস্বীকার করে এনইউপিডব্লুর সাধারণ সম্পাদক প্রভাত মুখোপাধ্যায় বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে কংগ্রেসের নাম জড়ানো হচ্ছে।”
|
জেলাশাসককে জেরার সিদ্ধান্ত |
শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আর্থিক দুর্নীতির মামলার ব্যাপারে তৎকালীন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক গোদালা কিরণ কুমারকে জেরা করে পুলিশের একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হল মালদহে। বর্তমানে গোদালা কিরণ কুমার মালদহের জেলাশাসক পদে কর্মরত। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ওই তদন্তকারী দল মালদহে পৌঁছেছে। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন বলেন, “এ যাবৎ তদন্তে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। কিছু নথিপত্রও রয়েছে। সে জন্য প্রাক্তন মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলা হবে।” তবে মালদহের জেলাশাসককে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, তাঁকে জেরা করার জন্য কোনও মহল থেকে যোগাযোগ করা হয়নি।
|
পাম্প খারাপ হওয়ার ১২ দিন বাদেও মেরামত না হওয়ায় পানীয় জলের সংকট তৈরি হওয়ার অভিযোগে ডুয়ার্সের রামঝোড়া বাজার এলাকার বাসিন্দারা প্রায় ৫ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। শুক্রবার বাসিন্দাদের অবরোধের জেরে ভারত-ভুটান সড়ক অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে। অসংখ্য পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়ে। মাদারিহাট-বীরপাড়ার বিডিও পেম্বা শেরপা দ্রুত পাম্প মেরামতির আশ্বাস দিলে দুপুর তিনটে নাগাদ অবরোধ তুলে নেন বাসিন্দারা। বিডিও বলেন, “বিকল পাম্পের কিছু যন্ত্রাংশ কলকাতা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।”
|
প্রচারে বাধা, নালিশ বামেদের |
কুমারগ্রাম ব্লকের ভল্কা ও কামাখ্যাগুড়িতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচারে বাধা, প্রার্থী ও ভোট কর্মীদের হুমকির অভিযোগ তুলল বামফ্রন্ট। শুক্রবার বিকালে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে স্মারকলিপি দেন। কুমারগ্রাম জোনাল কমিটির সম্পাদক গরেন রায় জানান, ওই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি দুলাল দে বলেন, “সিপিএমের পায়ের নিচে মাটি সরে গিয়েছে। সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আর কামাখ্যাগুড়িতে টাকা লেনদেন নিয়ে গোলমাল হয়েছে শুনেছি।” |