বাঁকুড়ায় তিন-তিনটে সভা সেরে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার যখন বড়জোড়ায় মঞ্চে উঠলেন, ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় রাত নটা ছুঁই ছুঁই। জনতার ভিড় আস্তে আস্তে পাতলা হতে শুরু করল। নেতাদের কেউ কেউ বলে বসলেন, হল টা কী? দলের বড়জোড়া ব্লক সভাপতি জহর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী আর করা যাবে! চারপাশে যা হাতির উপদ্রুব। জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা তাই বেশি রাত পর্যন্ত সভায় থাকতে পারলেন না।
|
মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি বক্তৃতা শেষ করতেই এক কর্মী বলে উঠলেন, “৭৯ বার!” কী? এক পলকে তিনি হাঁ হাতের কব্জিতে বাঁধা হাত ঘড়ি দেখে বলেন, “জানেন ২৪ মিনিটের বক্তৃতায় উনি ৭৯ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেছেন!” আর এক কর্মী বলেন, “আরে দলটা তো চলছে ওই একটি নামেই। ওই নামেই যাদু।”
(শুক্রবার হুড়ার লধুড়কার সভা)
|
আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ‘উচিত শিক্ষা’ পাবে। ওরা সংসদের আসন ধরে রাখতে পারবে না। শুক্রবার ছাতনায় নির্বাচনী সভা করতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর আরও দাবি, বিধানসভা নির্বাচনেও ওরা ফিরতে পারবে না। যা শুনে তৃণমূলের এক জেলা নেতার টিপ্পনি, “প্রদীপদা কি গণৎকার? আগে জানতাম না তো!” |